১৪ হাজার ২৭৫ কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রয়েছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ০৪:৪৩ পিএম

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। ছবি : সংগৃহীত
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন জানিয়েছেন, সারাদেশে বর্তমানে ১৪ হাজার ২৯২টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। তার মধ্যে মোট ১৪ হাজার ২৭৫টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রয়েছে। নতুন আরো ৯৮টি কমিউনিটি ক্লিনিকের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।
সোমবার (২৪ জুন) জাতীয় সংসদে এমপি মাইনুল হোসেন খানের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক বর্তমান সরকারের সাফল্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত যা দেশে-বিদেশে নন্দিত। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত গ্রামীণ জনগণ সমন্বিত স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা ও পুষ্টি সেবা পাচ্ছেন। এটি জনগণ ও সরকারের যৌথ প্রয়াসে বাস্তবায়িত একটি কার্যক্রম। জনমুখী এ কার্যক্রম ১৯৯৬ সালে গ্রহণ করে ১৯৯৮ সালে বাস্তবায়ন শুরু হয়। ১৯৯৮-২০০১ সময়ে ১০ হাজারের অধিক কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মিত ও অধিকাংশই চালু করা হয় এবং জনগণ সেবা পেতে শুরু করে। ২০০১ সালে সরকার পরিবর্তনের পর এ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় এবং এ অবস্থা ২০০৮ সাল অবধি চলমান থাকে। দীর্ঘদিন অব্যবহৃত থাকায় নদীভাংগন ও অন্যান্য কারণে ৯৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক ধ্বংস হয়ে যায় এবং ১০ হাজার ৬২৪টি বিদ্যমান থাকে।
আরো পড়ুন : রাসেলস ভাইপার নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর জরুরি নির্দেশনা
তিনি জানান, কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে ৪র্থ সেক্টর কর্মসূচীতে (জানুয়ারি ২০১৭ হতে জুন ২০২৩ মেয়াদে) কমিউনিটি বেইজ হেলথ কেয়ার অপারেশনাল প্ল্যান অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বর্তমানে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট এর আওতায় কমিউনিটি বেইজ হেলথ কেয়ার অপারেশনাল প্ল্যান এর মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিক এর সমস্ত কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছে।
কমিউনিটি ক্লিনিক হতে গ্রামীণ জনগণকে স্বাস্থ্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য উন্নয়ন, পুষ্টি, পরিবার পরিকল্পনা, উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগ শনাক্তকরা, সীমিত নিরাময়মূলক সেবাসহ জরুরি ও জটিল রোগীদের যথাযথ ব্যবস্থাপনার জন্য উচ্চতর পর্যায়ে রেফার সংক্রান্ত সেবা দেয়া হচ্ছে।
এছাড়া অসংক্রামক রোগসমূহ প্রাথমিকভাবে নিরূপণ এবং উচ্চতর পর্যায়ে রেফার যেমন- উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, আর্সেনিকোসিস, অটিজম ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়মিত স্বাস্থ্য শিক্ষা কার্যক্রম আরো জোরদারকরণ এবং একটি কার্যকর রেফারেল ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।