প্রিন্স মামুনকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৪, ০১:১০ পিএম

টিকটকার প্রিন্স মামুন। ছবি: সংগৃহীত
সামাজিক মাধ্যমে বহুল আলোচিত লায়লা আক্তার ফারহাদের (৪৮) ধর্ষণ মামলায় টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনকে (২৫) সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছে পুলিশ। রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ এ আবেদন করেছে।
মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে।
এর আগে, সোমবার (১০ জুন) রাত পৌনে ১০টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক জেলার দাউদকান্দি টোলপ্লাজা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে রাত সোয়া ১২টার দিকে তাকে ঢাকার উদ্দেশ্যে নিয়ে আসা হয়।
কুমিল্লার দাউদকান্দি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, টিকটকার মামুনের বিরুদ্ধে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়। সেই প্রেক্ষিতে মামুন কুমিল্লায় অবস্থান করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ আমাদেরকে তাকে গ্রেপ্তারের একটি রিকুইজিশন প্রেরণ করে। এরপরই দাউদকান্দি টোল প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয় এবং রাত পৌনে ১০টার দিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নেতৃত্বে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানার একটি টিম আসলে রাত সোয়া ১২টার দিকে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরো পড়ুন: টিকটকার মামুনকে নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ
উল্লেখ্য, টিকটকার লায়লাকে বিয়ের প্রলোভনে রবিবার (৯ জুন) প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করেন লায়লা।
মামলার এজাহারে লায়লা লিখেছেন, মামলার বিবাদী আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে আমার গত তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে মামুন আমাকে বিয়ে করবে মর্মে প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। সে আমাকে জানায়, তার ঢাকায় থাকার মত নিজস্ব কোনো বাসা নেই। যেহেতু প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয় এবং মামুন আমাকে বিয়ে করবে বলে জানায়, তাই তার কথা সরল মনে বিশ্বাস করে তাকে আমার বাসায় থাকার অনুমতি দিই।
তিনি আরো লিখেছেন, ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাসায় এসে বসবাস করতে থাকে। ওইদিন থেকে সে আমার বাসায় আমার সঙ্গে একই রুমে থাকতে শুরু করে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। মামুন আমার বাসায় থাকাকালে তার বাবা-মা মাঝেমধ্যেই সেখানে এসে অবস্থান করতো। আমি মামুনকে একাধিকবার বিয়ের বিষয় বললে সে বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে।
সর্বশেষ চলতি বছরের ১৪ মার্চ মামুন আমাকে আবার ধর্ষণ করে। পরবর্তী সময়ে আমি তাকে বিয়ের বিষয়ে বললে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। আমাকে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে।