সামাজিক মাধ্যমে বহুল আলোচিত লায়লা আক্তার ফারহাদের (৪৮) ধর্ষণ মামলায় টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

মঙ্গলবার (১১ জুন) ঢাকার আদালতে তোলা হবে টিকটকার প্রিন্স মামুনকে। এদিন বেলা ১১টায় ক্যান্টনমেন্ট থানায় লায়লা আক্তার ওরফে ব্লু ফেয়ারী লায়লা কর্তৃক দায়েরকৃত ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি টিকটকার প্রিন্স মামুনের গ্রেপ্তার সংক্রান্ত এক প্রেস ব্রিফিং করা হবে গুলশান বিভাগের ক্যান্টনমেন্ট থানা প্রাঙ্গণে।

সোমবার (১০ জুন) রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার রাতে কুমিল্লার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে ক্যান্টনমেন্ট থানায় ধর্ষণ মামলা রয়েছে।

আরো পড়ুন: লায়লার ধর্ষণ মামলায় টিকটকার প্রিন্স মামুন গ্রেপ্তার

এদিকে কুমিল্লার দাউদকান্দি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, সোমবার রাত পৌনে ১০টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি টোল প্লাজা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে দাউদকান্দি থানা পুলিশ।

তিনি বলেন, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট পুলিশের পক্ষ থেকে আমাদের রিকুইজিশন দেয়া হয়েছিল। পরে রাত পৌনে ১০টার দিকে দাউদকান্দি টোল প্লাজা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট পুলিশের একটি টিম কুমিল্লায় এলে তাদের কাছে প্রিন্স মামুনকে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এর আগে টিকটকার লায়লাকে বিয়ের প্রলোভনে রবিবার (৯ জুন) প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন লায়লা আক্তার ফারহাদ।

আরো পড়ুন: লায়লার ধর্ষণ মামলায় টিকটকার প্রিন্স মামুন গ্রেপ্তার

মামলার এজাহারে লায়লা লিখেছেন, মামলার বিবাদী আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে আমার গত তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে মামুন আমাকে বিয়ে করবে মর্মে প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। সে আমাকে জানায়, তার ঢাকায় থাকার মত নিজস্ব কোনো বাসা নেই। যেহেতু প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয় এবং মামুন আমাকে বিয়ে করবে বলে জানায়, তাই তার কথা সরল মনে বিশ্বাস করে তাকে আমার বাসায় থাকার অনুমতি দিই।

তিনি আরো লিখেছেন, ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাসায় এসে বসবাস করতে থাকে। ওইদিন থেকে সে আমার বাসায় আমার সঙ্গে একই রুমে থাকতে শুরু করে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। মামুন আমার বাসায় থাকাকালে তার বাবা-মা মাঝেমধ্যেই সেখানে এসে অবস্থান করতো। আমি মামুনকে একাধিকবার বিয়ের বিষয় বললে সে বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে।

সর্বশেষ চলতি বছরের ১৪ মার্চ মামুন আমাকে আবার ধর্ষণ করে। পরবর্তী সময়ে আমি তাকে বিয়ের বিষয়ে বললে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। আমাকে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে।