দুই জেলায় পাওয়া নারীর ৩ খণ্ড দেহ একজনেরই

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৪, ০৮:১০ এএম

ছবি: সংগৃহীত
পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) ঢাকা জেলার ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার মো. কুদরত-ই-খুদা জানিয়েছেন, ঢাকা ও ফরিদপুর জেলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে নারী দেহের তিন খণ্ড উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ডিএনএ পরীক্ষায় জানা যায়, খণ্ডিত অংশগুলো একজনেরই।
সোমবার (১০ জুন) রাজধানীর ধানমন্ডিতে পিবিআই হেডকোয়ার্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে মো. কুদরত-ই-খুদা এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ওই দেহের অংশগুলো পোড়া ও পচে বিকৃত হওয়ায়, তার পরিচয় শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ওই নারীর পরিচয় শনাক্তে গণমাধ্যমের কাছে সহায়তা চেয়েছে পিবিআই।
আরো পড়ুন: জামিন মেলেনি শিমুল ভূঁইয়া-তানভীরের
তিনি আরো বলেন, ২০২২ সালের ২৫ জানুয়ারি ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালির কৈজুরী ইউনিয়নের বিলনালিয়া গ্রামের মাঠের ভেতর থেকে আগুনে পোড়ানো মাথাসহ একটি হাত উদ্ধার করা হয়। একই দিনে ঢাকা জেলার ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের বড় চন্দ্রাইল গ্রামে এক নারীর কোমর থেকে নিচের অংশ উদ্ধার হয়। এর ছয়দিন পর একটি হাতসহ দেহের মাঝখানের খণ্ডিত অংশ সাভারের সাদাপুর থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, উদ্ধার হওয়া খণ্ডিত দেহের তিনটি অংশ একই নারীর।
তিনি বলেন, খণ্ডিত দেহের মাথাসহ ডান হাত সম্পূর্ণ আগুনে পোড়ার কারণে ওই নারীর চেহারা বোঝা যাচ্ছে না। এছাড়াও খণ্ডিত দেহের মাঝখানের অংশসহ বাম হাত সম্পূর্ণ পচে যায়। এর কারণে আঙুলের ছাপের মাধ্যমেও পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না।
পিবিআইয়ের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এই অবস্থায় হত্যাকাণ্ডটির রহস্য উদ্ঘাটনসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে অজ্ঞাতনামা ভুক্তভোগীর পরিচয় শনাক্ত করা প্রয়োজন। এজন্য সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে যেনো বিষয়টি সবার নজরে আনা হয়। কেউ যদি এই ভুক্তভোগীকে চিনে থাকেন, তাহলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের অনুরোধ করা হয়েছে।