
প্রিন্ট: ০৭ জুন ২০২৫, ০৪:০৫ এএম
আরো পড়ুন
১৮ হাজার ভিক্ষুকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে : সমাজকল্যাণমন্ত্রী

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২৪, ০১:২১ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
সারাদেশে ১৭ হাজার ৭১০ জন ভিক্ষুককে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি। পাশাপাশি ঢাকা শহরে আটক করা ভিক্ষুকদের সরকারী আশ্রয়কেন্দ্রে রেখে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও সমাজকল্যাণমন্ত্রী জানান।
রবিবার (৯ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য তাহমিনা বেগমের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ সব কথা জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। রবিবারের প্রশ্ন উত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
আরো পড়ুন: শেখ হাসিনা ও মোদির বৈঠকে গুরুত্ব পাবে যেসব বিষয়
ডা. দীপু মনি বলেন, ঢাকা শহরে জীবন জীবিকার জন্য অন্যের উপর নির্ভরশীল এরূপ ঠিকানাবিহীন কত লোক বসবাস করে তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। নদী ভাঙ্গন, অতি দারিদ্র্য, রোগ, ব্যাধি, অশিক্ষা প্রভৃতি কারণে কিছু লোক ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত হচ্ছেন যাদের প্রকৃতপক্ষে সাহায্যের দরকার আছে। তবে কিছু কিছু কর্মবিমুখ লোক সহজ আয়ের পথ হিসেবে ভিক্ষাবৃত্তিকে বেছে নিয়েছেন। এর পাশাপাশি কিছু দুষ্টচক্র নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য অসহায় মানুষদের দিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করাচ্ছেন।
ভিক্ষুকমুক্ত করার লক্ষ্যে ভিক্ষাবৃত্তি সমাধানে সরকার ২০১০-১১ অর্থবছর হতে 'ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান' শীর্ষক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে সারাদেশে ভিক্ষুকদের পুনর্বাসন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১৭ হাজার ৭১০ জন ভিক্ষুককে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হয়েছে। এছাড়া, ঢাকা শহরে ভিক্ষারত অবস্থায় আটককৃত ভিক্ষুকদের সরকারী আশ্রয়কেন্দ্রে রেখে প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং প্রশিক্ষণ শেষে প্রয়োজনীয় উপকরণ প্রদান করে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। সারাদেশে ভিক্ষুকদের ডাটাবেইজ তৈরীর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সঠিক পরিসংখ্যানের মাধ্যমে প্রকৃত ভিক্ষুকদেরকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান এবং কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে ভিক্ষাবৃত্তি নিরসন করা হবে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ কর্তৃক ভিক্ষাবৃত্তি নিরসন ও পুনর্বাসন উপখাতে ৬৪ জেলায় ৫০ লাখ টাকা অনুদান দেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ অনুদান দেবার পরিকল্পনা আছে।