এমপি আনার হত্যা
আমি ছিলাম সাক্ষী, আসামি কেন করা হলো: শিলাস্তি

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৪, ০৪:৩৮ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের মামলায় গ্রেপ্তার তিন আসামিকে ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার (২৪ মে) শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিররুবা আফরোজ তিথি এ আদেশ দেন।
শুনানির সময় গ্রেপ্তার আসামি শিলাস্তি রহমান আদালতে কান্না করে বলেন, 'আমি ছিলাম সাক্ষী। আমাকে কেন আসামি করা হলো।' আসামির কাটগড়ায় দাঁড়িয়ে বার বার কান্না করে এ কথাই বলছিলেন শিলাস্তি রহমান। এসময় আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিল না। ডিবি ১০ দিন রিমান্ড চাইলে শুনানি শেষে আদালত তিন জনের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বাকি দুই আসামি হলেন- আমানুল্লাহ ওরফের শিমুল ভূঁইয়া ও ফয়সাল আলী ওরফে সাজি।
এর আগে, গত ২২ মে শেরেবাংলা নগর থানায় নিহত সংসদ সদস্যের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বাদী হয়ে অপহরণ মামলাটি দায়ের করেন। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৪ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আরো পড়ুন: এমপি আনার হত্যাকাণ্ড: তিন আসামি ৮ দিনের রিমান্ডে
এজাহারে আনারের মেয়ে ডরিন বলেন, গত ৯ মে রাত ৮টার দিকে আমার বাবা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর সংসদ সদস্য ভবনের বাসা থেকে গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। ১১ মে ৪টা ৪৫ মিনিটে বাবার সঙ্গে মোবাইলে ভিডিও কলে কথা বললে বাবার কথাবার্তায় কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর বাবার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলে বন্ধ পাই।
এরপর ‘১৩ মে আমার বাবার ভারতীয় নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে একটি মেসেজ আসে। মেসেজে লেখা ছিল- ‘আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি আছে। আমি অমিত শাহের কাছে যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেয়ার দরকার নেই। পরে ফোন দেবো। এছাড়াও আরো কয়েকটি মেসেজ আসে। মেসেজগুলো বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে।’
মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়, আমরা বিভিন্ন জায়গায় বাবার খোঁজখবর করতে থাকি। আমার বাবার কোনো সন্ধান না পেয়ে বাবার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস কলকাতার বারানগর পুলিশ স্টেশনে সাধারণ ডায়েরি করেন। বাবাকে খোঁজাখুজি অব্যাহত রাখি। পরবর্তীসময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পারি অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে বাবাকে অপহরণ করেছে।