এমপি আনার হত্যাকাণ্ড
কে এই শিলাস্তি রহমান

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৪, ০৯:১৩ এএম

হত্যাকাণ্ডের শিকার এমপি আনার ও অভিযুক্ত শিলাস্তি রহমান। ছবি: সংগৃহীত
কলকাতায় এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার খুন হওয়ার বিষয়ে তদন্তে নেমে দুই আসামি গ্রেপ্তারের পাশাপাশি দুই তরুণীকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। এদের মধ্যে শিলাস্তি রহমান নামের এক তরুণী ঘটনার সময় কলকাতার নিউটাউনে সঞ্জীবা গার্ডেন্সের ৫৬/বিইউ ফ্লাটে আনারের রুমেই ছিলেন। আরেক তরুণী অতীতে আনারের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে কলকাতায় গিয়েছেন বলে জানা গেছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এমপি আনারকে হত্যার জন্য কলকাতার নিউ টাউনে অভিজাত ‘সঞ্জীবনী গার্ডেনে’র যে ট্রিপ্লেক্স ফ্ল্যাট ভাড়া নেয়া হয়েছে, সেখানে অবস্থান করেছিলেন ওই নারী। হত্যা মিশন ঘটিয়ে মূল কিলার আমানুল্লাহর সঙ্গে তিনি গত ১৫ মে দেশে ফেরেন। ওই নারীকে এরই মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) তাদের হেফাজতে নিয়েছে বলে জানা গেছে।
ডিবি পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, শিলাস্তি রহমান এমপি আনার খুনের মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীনের বান্ধবী। তার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্তের পরে বলা যাবে।
সংশ্লিষ্ট ওই তরুণীরা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে এ ব্যাপারে নিশ্চিত করেছে। তারা পুলিশকে জানিয়েছেন, ব্যবসায়িক কাজে এমপি আনার প্রায়ই কলকাতা যেতেন। প্রতিবার যাওয়ার সময় তাদের মধ্যে থেকে যে কোনো একজনকে সঙ্গে করে নিয়ে যেতেন। তারা কলকাতার বিভিন্ন শপিংমল ঘুরে কেনাকাটা করতেন। এমপি আনারের কাজ শেষ হলে তারা আবার দেশে ফিরে আসতেন।
তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, কলকাতার নিউটাউনে সঞ্জীবা গার্ডেন্সে যে তরুণীকে দেখা গেছে তিন শিলাস্তি রহমান। তাকে জিম্মায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পাশাপাশি আরেক তরুণীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। জানা গেছে তারা একজন আরেকজনের পরিচিত।
এদিকে কিলিং মিশনে অংশ নেয়া শাহিন নামের একজনের নাম সামনে এসেছে। তবে ওই শাহিনকে আগে কখনো দেখেননি ঘটনার দিন এমপি আনারের সঙ্গে থাকা শিলাস্তি রহমান। এদিন রাজা নামে এক ব্যক্তি শিলাস্তিকে কেনাকাটা ও রেস্টুরেন্টে খাওয়ার বিষয়ে সহযোগিতা করেছেন। রুম পরিষ্কার করতে সহযোগিতা করতেন সিয়াম নামের অপর আরেক ব্যক্তি।
তদন্তকারীরা শিলাস্তি রহমানের কাছ থেকে আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে। সে ডিবি পুলিশকে জানিয়েছেন, এমপি আনারের বন্ধু স্বর্ণ কারবারি গৌতমের বাসা থেকে তারা সঞ্জীবা গার্ডেন্সে যান। ১৩ মে দুপুরে এমপি আনার তাদের পাশের রুমে থাকা শাহিনের রুমে যাওয়ার পর আর ফেরেননি। দুপুরে ওই তরুণী পাশের কক্ষে ব্লিচিংয়ের গন্ধ পান। কিন্তু এমপি আনার খুন হতে পারেন- এটা তার ধারণাতেই ছিল না। ব্লিচিংয়ের গন্ধ আসার পর শাহিন তার সঙ্গে ভাত খাওয়ায় সন্দেহ মাথায় আসেনি। এমপি আনার কোথায়? এটি জানতে চাইলে শাহিন জানিয়েছিল- গুরুত্বপূর্ণ কাজে বাইরে গেছে। তদন্তসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, দুই তরুণীর কথায় মনে হয়েছে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত নাও থাকতে পারেন।