কলেজছাত্রীকে বিবাহ, ডিভোর্স দেয়ায় অন্তরঙ্গ ভিডিও ফেসবুকে

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ০৯:০২ পিএম

আটক মো. আবুল কালাম শেখ
বেসরকারি জাহাজের খালাসী হিসেবে কর্মরত মো. আবুল কালাম শেখ নিজেকে জাহাজের ইঞ্জিনিয়ার পরিচয় দিয়ে ফেসবুকে এক কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন। বিদেশে থাকাকালে ইংরেজিতে কথাবার্তা বলে মুগ্ধ করে দেশে ফিরে নিজের প্রথম স্ত্রী ও সন্তানের তথ্য গোপন করে এই কলেজ ছাত্রীকে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে প্রথম স্ত্রী সন্তানের কথা বলে তাদের সঙ্গে একত্রে ঘর-সংসার করার জন্য ভিকটিমকে মারধর করাসহ নানাভাবে নির্যাতন শুরু করেন।
একপর্যায়ে ভিকটিম ডিভোর্স দিলে আসামি আবুল কালাম শেখ ভিকটিমের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন। ভিকটিম বাদী হয়ে লালবাগ থানায় মামলা করলে সিআইডি মামলার তদন্তভার পায়। সিআইডির তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই খায়রুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল মোংলা থেকে আসামিকে আটক করে রবিবার (১৯ মে) বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করেন।
আরো পড়ুন: মায়ের কোলে ফিরলো নিখোঁজ শিশু মরিয়ম, গ্রেপ্তার ১
মামলা সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামী মো. আবুল কালাম শেখ মোংলা থানার (বাগেরহাট জেলা) আরাজি মাকরঢোন গ্রামের মো. আব্দুস সালাম শেখের ছেলে। তিনি ৮ম শ্রেণি পাস করে সমুদ্রগামী জাহাজে খালাসী হিসাবে বিভিন্ন দেশে যাতায়াত করতেন। তার দুই সন্তান ও স্ত্রী বর্তমান থাকার পরও ফেসবুকে কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন। পরবর্তীতে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ভিকটিমকে বিয়ে করে খুলনা শহরে বাসা ভাড়া করে থাকতে শুরু করেন। একপর্যায়ে নিজের স্ত্রী-সন্তান থাকার কথা স্বীকার করে সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে সংসার করার জন্যে ভিকটিমকে চাপ দিতে থাকেন। ভিকটিম আসামীর কথায় রাজি না হলে, আসামী ভিকটিমকে শারিরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকেন। ভিকটিম একপর্যায়ে আসামীকে ডিভোর্স দিয়ে ঢাকায় এসে একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে চাকরি শুরু করেন। আসামী ভিকটিমের বাসার ঠিকানা সংগ্রহ করে সে বাসায় এসে ভিকটিমকে মারধর করে শারীরিক সম্পর্ক করার চেষ্টা করেন। ভিকটিম এতে রাজি না হলে আসামীর নিকট পূর্বে থাকা দাম্পত্য জীবনের অন্তরঙ্গ মূহুর্তের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও টিকটকে আপলোড করে ছড়িয়ে দেন।
ভিকটিম বাদী হয়ে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগ করলে বিজ্ঞ আদালত লালবাগ থানাকে মামলা রুজু করার আদেশ দেন এবং সিআইডিকে মামলার তদন্ত করার নির্দেশ দেন।