উপাচার্যের কাছে সেকান্দারের বিচার চাইলো জবি শিক্ষক সমিতি

জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৪, ০৭:০২ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
ফেসবুকে মিথ্যা ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক আবু সালেহ সেকেন্দারের বিরুদ্ধে এবার বিচার চেয়েছে শিক্ষক সমিতি।
বুধবার (৮ মে) জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
উপাচার্য বরাবর শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত লিখিত আবেদনে বলা হয়, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের পিএইচডি কমিটির বহিঃসদস্য হওয়ার অভিযোগ করে আবু সালেহ সেকেন্দার। পরবর্তীতে এটির ওপর ভিত্তি করে নেতিবাচক সংবাদ হয়েছে যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করছে।
এদিকে এদিন শিক্ষক সেকান্দারের বিচার চেয়ে উপাচার্য বরাবর আরেকটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ইসলামের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আতিয়ার রহমান। তিনি বলেন, নিজ বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রীর সঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অপ্রীতিকর অবস্থায় প্রক্টরিয়াল বডির কাছে আটকের পর বিয়ে, ক্লাসে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি, ফেসবুকে ভিসি, ডীন, প্রক্টরসহ সিনিয়র শিক্ষকদের গালিগালাজ ও অসৌজন্যমূলক আচরণে কয়েকজন ছাত্রীর লিখিত অভিযোগে আবু সালেহ সেকান্দারকে সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এরপর থেকে আমাকেসহ আমার সহকর্মীদের নামে ফেসবুকে নানা মিথ্যা অশালীন, কুরুচিপূর্ণ পোস্ট দিয়ে যাচ্ছে। এতে আমি মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছি। সেকান্দার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় থাকা ও কাজ করার জন্য সম্পূর্ণ অক্ষম ও অনুপযুক্ত। তার মানসিক চিকিৎসা প্রয়োজন। বিধি মোতাবেক তার বিরুদ্ধে শাস্তি দাবি করছি।
এর আগে ফেসবুকে অশালীন পোস্ট দিয়ে সম্মানহানি করার জন্য আবু সালেহ সেকান্দারের বিরুদ্ধে উপাচার্যকে লিখিতভাবে পৃথক অভিযোগপত্র দিয়ে বিচার চান ডীন ড. আবুল হোসেন, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের সকল শিক্ষক ও আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন নীলদল।