বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতিতে কুকি-চিন সম্পৃক্ত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৩৬ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
বান্দরবানের ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় কুকি-চিনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা হঠাৎ করে শুনলাম বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতির প্রচেষ্টা হয়েছে। আমাদের কাছে যে তথ্য এসেছে তাতে কুকি-চিন গ্রুপটি আগেও জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে আঁতাত করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিল। র্যাব ও আর্মি তাদের ঘাঁটিতে অভিযান চালিয়েছে।’
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘ইদানীং আমরা দেখছি, কুকি-চিন আবারো বিভিন্নভাবে তাদের অবস্থান জানান দিচ্ছে। রুমার ঘটনায় এ পর্যন্ত আমরা যা শুনেছি, সোনালী ব্যাংকে ঢোকার আগে তারা বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র বন্ধ করে দেয়। পরে তারা সোনালী ব্যাংকের দিকে অগ্রসর হয়।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ‘সেখানে পুলিশ মোতায়েন ছিল এবং অধিকাংশই তারাবিহ নামাজরত ছিলেন। পুলিশের গার্ড কমান্ডার এএসআই (সহকারী উপ-পরিদর্শক) মামুনুর রহমান ও কনস্টেবল তৌহিদুল ইসলামকে আহত করে ২টি এসএমজি ও ৮টি চাইনিজ রাইফেল লুট করে নেয় ডাকাতরা। উপজেলা কমপ্লেক্সের আনসার বাহিনী যে সদস্যরা ছিলেন তাদের শটগানও লুট করে নেয় ডাকাতরা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সোনালী ব্যাংকের ভল্ট একটি ভাঙতে পারলেও আরেকটি ভাঙতে পারেনি ডাকাতরা। এগুলো আমাদের আনুষ্ঠানিক তথ্য নয়।’
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগন এই মুহুর্তে ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন বলেও নিশ্চিত করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারকে জিম্মি করে নিয়ে গেছে উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘কত টাকা ডাকাতরা নিয়ে গেছেন তা আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা এখনো জানতে পারিনি।
‘আজকের দিনের বেলায় আমরা দেখেছি, থানচিতে তারা সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে অ্যাটাক করেছে। সেখানে এখনো আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অপারেশন চলছে। আমাদের বিজিবি-পুলিশের সঙ্গে সেখানে গুলির ঘটনা ঘটেছে। কি পরিমাণ টাকা লুট হয়েছে বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কি তা এই মুহুর্তে নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। পুরো তথ্য আমাদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আসলে আমরা গণমাধ্যমকে জানাবো।