ধানমন্ডির গাউসিয়া টুইন পিকে রাজউকের অভিযান

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২৪, ০৩:৫০ পিএম

রাজধানীর বেইলি রোডের আগুন সতর্ক ঘণ্টা বাজিয়ে দেয়ার পর ধানমন্ডির সাত মসজিদ সড়কের গাউসিয়া টুইন পিক ভবনে অভিযান চালিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ–রাজউক। সোমবার (৪ মার্চ) বেলা ১০টার পর রাজউকের কর্মকর্তারা ওই ভবনে যান বলে এ নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান।
গাউসিয়া টুইন পিক নামের ওই ভবনে রয়েছে এক ডজনেরও বেশি রেস্তোরাঁ, অথচ আইন অনুযায়ী সেখানে রেস্তোরাঁ বসানোর সুযোগ নেই। ভবনটি ১৫০ ফুট উচ্চতায় নির্মাণের অনুমোদন দেয়া হলেও অবৈধভাবে ৪০ ফুট বাড়ানো হয়েছে বলে রবিবার রাজউকের পরিদর্শনে উঠে আসে।
গত বৃহস্পতিবার ঢাকার বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জন নিহত হওয়ার পর স্থপতি মুস্তাফা খালিদ পলাশ ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে গাউসিয়া টুইন পিক ভবনের অনিয়মের কথা জানিয়ে যেখানে যেতে ভোক্তাদের নিষেধ করেন।
এই স্থপতি বলেন, তিনি গাউসিয়া টুইন পিকের নকশা করলেও ভবনটি সেভাবে ব্যবহার হচ্ছে না। এরপর রবিবার ভবনটি পরিদর্শন করে রাজউকের অঞ্চল-৫ এর পরিচালক মো. হামিদুল ইসলাম বলেন, এক তলা বেইজমেন্টসহ ১৪ তলা বাণিজ্যিক ভবনটির অকুপেন্সি টাইপ এফ-১। অর্থাৎ ভবনটি অফিস হিসেবে ব্যবহার করা যাবে, রেস্তোরাঁ নয়। ভবনটির দ্বিতীয় এবং ১৩ তম তলায় দুটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অফিস রয়েছে। বাকি ফ্লোরগুলোয় দোকান এবং ১৫টি রেস্তোরাঁর জন্য ভাড়া দেয়া হয়েছে।
বেইলি রোডে আগুনে পুড়ে যাওয়া গ্রিন কোজি কটেজ ভবনটিও রেস্তোরাঁ হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ ছিল না রাজউক আইন অনুযায়ী। কিন্তু আট তলা ভবনে ১৪টি খাবারের দোকান ও রেস্তোরাঁ ছিল। রাজউক অফিস হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি দিলেও সিটি করপোরেশন সেখানে রেস্তোরাঁগুলোকে ট্রেড লাইসেন্স দেয়। নিয়ম ভাঙার বিষয়গুলো সামনে আসে ভয়াবহ সেই অগ্নিকাণ্ডের পর।
রাজউক কর্মকর্তারা বলছেন, গাউসিয়া টুইন পিকেও একই অনিয়ম হয়েছে। সেখানে রাজউক আইন অনুযায়ী রেস্তোরাঁ বসানোর সুযোগ না থাকলেও সিটি করপোরেশন ট্রেড লাইসেন্স দিয়েছে, ছাড়পত্র মিলেছে কলকারখানা অধিদপ্তরের এবং ফায়ার সার্ভিস থেকেও।