বৃষ্টির লাশের জানাজার প্রসঙ্গে যা বললেন ইমাম

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২৪, ১১:৫০ এএম

রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিনকজি ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নিহত সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি খাতুনের পরিচয় নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। নিহত ওই সাংবাদিককে নিজের মেয়ে বলে দাবি করেছেন কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার শাবলুল আলম সবুজ। লাশ নিতে তিনি মর্গে এসেছেন।
তবে তাকে নিজের মেয়ে দাবি করলেও সবুজ যে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) এনেছেন, তাতে নাম ‘বৃষ্টি খাতুন’, বাবার নাম ‘সবুজ শেখ’ এবং মায়ের নাম ‘বিউটি বেগম’ লেখা। কিন্তু নিহত সাংবাদিক পেশাগত জীবনে ও লেখালেখির জগতে নিজেকে ‘অভিশ্রুতি শাস্ত্রী’ হিসেবে পরিচয় দিতেন।
বার্ন ইনস্টিটিউটে দায়িত্বরত রমনা থানার এসআই হাবিবুর রহমান বলেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। লাশ এবং বাবা পরিচয়দানকারী শাবলুল আলম সবুজের ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে।
কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে– ডিএনএ না মিললে এবং অভিশ্রুতি পালিত সন্তান হয়ে থাকলে, তার দাফন বা সৎকারের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত হবে? এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই হাবিবুর বলেন, তিনি যে পরিবারে বেড়ে উঠেছেন, আমার ধারণা আদালত তাকে সেই পরিবারের কাছেই হস্তান্তর করবেন।
খোকসার বনগ্রামে গুজব উঠেছিল, অভিশ্রুতির লাশ গ্রামে এলে জানাজা পড়ানো যাবে না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ মোতায়েন করেছে খোকসা থানা।
তবে স্থানীয় মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিন জানিয়েছেন, সবুজ মেয়ের লাশ নিয়ে ফিরলে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী জানাজা পড়ানো ও দাফন সম্পন্ন করা হবে।
বনগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, বৃষ্টি আমার বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়। ২০১৬ সালে সে এসএসসি পাস করে।
এর পর কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে। পরে ইডেন কলেজে ভর্তি হয়। সম্প্রতি আমার ছেলেকে ঢাকায় ভর্তির ব্যাপারে বৃষ্টি সহায়তা করে।