জবিতে ৩৬ মণ্ডপে বৃহৎ পরিসরে হবে সরস্বতী পূজা

জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:৩৮ পিএম

প্রতিবারের ন্যায় এবছরও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) বৃহৎ পরিসরে সরস্বতী পূজার আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার এ ক্যাম্পাসে বিভাগ, ইন্সটিটিউট ও হল মিলে ৩৬ টি মণ্ডপে পূজা হবে।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির কেন্দ্রীয় পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. রবীন্দ্রনাথ মন্ডল। তিনি বলেন, প্রতি বছর আমরা সরস্বতী পূজা বৃহৎ পরিসরে উদ্যাপন করি। এবছর বিভাগ, ইন্সটিটিউট ও হল মিলে ৩৬ টি মণ্ডপে পূজা করা হচ্ছে। সকল প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। মণ্ডপগুলো সাজানো হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জোরদার থাকবে। থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও।
এদিকে শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সবচেয়ে ধর্মীয় উৎসব হিসেবে সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণভাবে প্রতিবছর সরস্বতী পূজার উদ্যাপন হয়ে থাকে। সকল ধর্মের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ উৎসবে যোগ দেন। শিক্ষার্থীরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নাচ গানে মেতে ওঠেন।
পূজার প্রস্তুতি সম্পর্কে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সুস্মিতা বণিক বলেন, পুরোদমে পূজার প্রস্তুতি চলছে। বন্ধুরা মিলে পূজার বাজার করতে এসেছি। উৎসবের আমেজ চলছে। কাল আমরা পূজার পাশাপাশি নাচ-গানে মেতে উঠব।এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়টির একমাত্র ছাত্রী হল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দীপিকা রানী বলেন, আমাদের ছাত্রী হলে উৎসবমুখর ভাবে সরস্বতী পূজা উদ্যাপনের আয়োজন করা হয়েছে। মেয়েরা মণ্ডপের সবকিছু কাজ করছে৷ সবাই উৎসবে মেতে উঠেছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী বলেন, আজ পূজা উদ্যাপন কমিটির সঙ্গে একাধিক মিটিং করেছি। এছাড়া পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে মিটিং হয়েছে। খুব সুন্দরভাবে ও সুনামের সঙ্গে পূজা উদ্যাপন করা হবে। সকল ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম মুঠোফোনে জানান, এ বছর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পালিত হতে যাচ্ছে সরস্বতী পূজা। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের উপস্থিতি পূজা উৎসবকে আরো প্রাণবন্ত করে তুলবে। সরস্বতী পূজা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উদ্যাপন করা আরো গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সরস্বতী জ্ঞান, সঙ্গীত এবং শিল্পের দেবী। বিশ্বাস করা হয় যে তিনি মানুষের বাকশক্তি, জ্ঞান এবং শেখার ক্ষমতা দিয়ে আশীর্বাদ করেন। এইভাবে শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় অনুষঙ্গ নির্বিশেষে এই পূজার তাৎপর্য অনুধাবন করতে হবে এবং বাংলাদেশের সংবিধানে বর্ণিত ধর্মনিরপেক্ষতার চেতনাকে সমুন্নত রাখতে হবে।