বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২০, ০৫:৩১ পিএম

মহাপরিচালকের বক্তব্যের ব্যাখ্যা

মহাপরিচালকের বক্তব্যের ব্যাখ্যা
দীর্ঘদিন বিরতি দিয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজদ। ‘ দেশে আগামী দুই তিন বছর করোনা থাকবে’ তার এমন বক্তব্য অসন্তোষ ও বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে।
শুক্রবার (১৯ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সমন্বয় ডা. মো. জাহাঙ্গীর কবির স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মহাপরিচালকের বক্তব্যের ব্যাখা দেয়া হয়। তাতে বলা হয়, ‘গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা বিষয়ক নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের একটি বক্তব্য ঘিরে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে মহাপরিচালক গভীরভাবে দুঃখিত। মহাপরিচালকের বক্তব্যের স্ক্রিপ্টটি দ্রুততার সাথে তৈরি করতে করতে স্বাস্থ্য বুলেটিন সময় হয়ে যাওয়ায় তিনি সেটি ভালো করে পরীক্ষা করা সুযোগ পাননি এবং স্ক্রিপ্ট পাঠ করে অনলাইনে বক্তব্য রাখেন।
পরবর্তীতে তিনি বুঝতে পারেন যে ওই বক্তব্যটিতে অস্পষ্টতা সৃষ্টি হতে পারে। তাই প্রেস বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রেরিত নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে বিষয়টি স্পষ্ট করে দেয়া হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তির শুরুতে উল্লেখ করা হয় মহাপরিচালকের বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিতে হলে দয়া করে এই প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে দিবেন। মহাপরিচালক বক্তব্যে উল্লেখ করেন বাংলাদেশ একটি জনবহুল এবং অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। অপরপক্ষে করোনা ভাইরাসও একটি অত্যন্ত ছোঁয়াচে ভাইরাস। একারণে অসতর্ক চলাফেরা এবং স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে না চললে এ রোগের সংক্রমণের হার মোকাবেলা করা কঠিন।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখলে কর্মহীনতা আয় রোজগারের পথ বন্ধ হওয়া এবং অন্যান্য সামাজিক ও অর্থনৈতিক কারণে ব্যাপক অপুষ্টি রোগবালাই ও মৃত্যু ঘটতে পারে। সে কারণে জীবন ও জীবিকার মধ্যে একটি ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য সরকারকে কাজ করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী অর্জিত অভিজ্ঞতা এবং বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ বলছেন কিছুকাল পরে বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণে উচ্চ হার কমে আসতে পারে। কিন্তু করোনা পরীক্ষা সংখ্যা বৃদ্ধি করলে অনেক লুক্কায়িত মৃদু কেসও সনাক্ত হবে। সেক্ষেত্রে সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যায় পরিবর্তন দৃষ্টিগোচর নাও হতে পারে। তার যে বক্তব্যটি নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে সে বিষয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি আকারে গতকাল ১৮ জুন সন্ধ্যা সাতটা ৫৫ মিনিটে ইস্যুকৃত স্বাস্থ্য বুলেটিনে বলা হয়েছিলো, ‘ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা এবং বিশ্বের স্বাস্থ্য বিজ্ঞানী ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী পরিস্থিতি সারাবিশ্বে এক দুই বা তিন মাসে শেষ হচ্ছে না একটি সফল আবিষ্কার এবং পর্যাপ্ত জনগোষ্ঠীর মধ্যে সফল প্রয়োগ না হওয়া পর্যন্ত দেশগুলোতে করোনা অস্থিত্ব থাকবে। ফলে এটি এক বছরের বেশি এমনকি দুই বা তিন বছর বা এর বেশি সময় স্থায়ী হতে পারে। যদিও আমরা মনে করি সংক্রমণের মাত্রা অনেক হ্রাস পাবে।’
যাতে গণমাধ্যম বিষয়টি বুঝতে পারে সেজন্য ওই প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এই অংশটি হলুদ রঙের হাইলাইট করে দেয়া হয়। এই ব্যাখ্যার মাধ্যমে গণমাধ্যমসহ সকলকে বিষয়টি অনুধাবন করার জন্য মহাপরিচালক একান্তভাবে আবেদন জানান। অনলাইন প্রথমে স্ক্রিপ্ট ত্রুটির জন্য যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে সেজন্য তিনি বিনীতভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
[caption id="attachment_226735" align="aligncenter" width="474"]
