নির্বাচনী প্রচারণায় ভিন্ন মাত্রা, ক্ষুদেবার্তায় ভোট চাইতে পারবেন প্রার্থীরা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৩৩ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রচারণায় এবার যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। বরাবরেরই নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যাবহার আসছে পোস্টার, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন, হ্যান্ড বিল ইত্যাদি। কিন্তু এবারের জাতীয় নির্বাচনে এসএমএস অর্থাৎ ক্ষুদেবার্তার মাধ্যমেও প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবে। সে ক্ষুদেবার্তায় প্রার্থীর দলের নাম এবং মার্কা ব্যবহার করা যাবে। পাশাপাশি প্রার্থী নির্বাচিত হলে তার এলাকার জনগণের জন্য কী কী কার্যক্রম গ্রহণ করবেন সেগুলোও উল্লেখ করা যাবে।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) কমিশনের সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের উপপরিচালক আসিফ ওয়াহিদ স্বাক্ষরিত এটুপি এসএমএস এগ্রিগেটর তালিকাভুক্তির নির্দেশিকার অনুচ্ছেদের ১৮.৫ সংশোধিত নির্দেশনা এসএমএস সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে পাঠানো হয়।
নির্বাচনের প্রচারণা শুরু হলে এসএমএসভিত্তিক প্রচারণার জন্য মোবাইল অপারেটরগুলোর সাথে যোগাযোগ শুরু করেন প্রার্থীরা। এ সময় জানা যায়, ওই নির্দেশিকার অনুচ্ছেদ ১৮.৫ অনুযায়ী, জাতীয় বা স্থানীয় নির্বাচনের কোনো প্রার্থী কোনো নির্দিষ্ট দল ও মার্কা উল্লেখ করে ভোট চেয়ে এসএমএস প্রেরণ করতে পারবে না। তবে এই অনুচ্ছেদে সংশোধনের নির্দেশনা দিয়েছে বিটিআরসি।
এতে বলা হয়, সাধারণ এসএমএস প্রেরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জাতীয় বা স্থানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কোনো প্রার্থী নির্বাচনী আচরণ অনুসরণপূর্বক দল/ব্যক্তি ও মার্কা উল্লেখ করে ভোট চাওয়ার জন্য এসএমএস প্রেরণ করতে পারবেন। ওই প্রার্থী নির্বাচিত হলে তার এলাকার জনগণের জন্য কী কী কার্যক্রম গ্রহণ করবেন তাও উল্লেখ করে এসএমএস প্রদান করতে পারবেন। তবে এই নির্দেশিকার অন্যান্য বিষয়াদি অপরিবর্তিত থাকবে বলে জানায় বিটিআরসি।