বিজয়নগরে ১২ দলীয় জোটের মিছিল

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৩, ০১:৩৩ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
বর্তমান সরকারকে গণতন্ত্রের ঘাতক আখ্যা দিয়ে ১২ দলীয় জোটের নেতারা বলছেন, সরকার বিরোধীদলের ওপর বেপরোয়া দমন পীড়ন চালিয়ে নিজেদের পতনকেই তরান্বিত করছে। সোমবার (৬ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বিজয়নগরে এক বিক্ষোভ মিছিল শেষে নেতারা এসব কথা বলেন।
বিএনপি ঘোষিত দেশব্যাপী দ্বিতীয় দফা ৪৮ ঘন্টার সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি সফলের লক্ষ্যে ১২ দলীয় জোটের উদ্যোগে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির পাশে অবস্থিত টেপা কমপ্লেক্সের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ অবরোধ সফল করে একদফার আন্দোলনকে সচল রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অংশগ্রহণ করে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ১২দলীয় জোটের সমন্বয়ক এডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাতীয় পার্টির (জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী খান আব্বাস, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সিনিয়র সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, ন্যাপ ভাসনীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রধান, বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজউদ্দিন টিটু।
এছাড়াও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আবুল বাশার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব নুরুল কবির পিন্টু, আব্দুল্লাহ আল হাসান সাকিব, আবু হানিফ, জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব কাজী নজরুল, হান্নান আহমেদ খান বাবলু, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান সারোয়ার আলম, শামসুল আহাদ, আবুল মনসুর, লেবার পার্টির যুগ্ম মহাসচিব শরিফুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্য জোটের যুগ্ম মহাসচিব ইলিয়াস রেজা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি জাকির হোসেন, আতাউর রহমান, যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় ছাত্রসমাজের সভাপতি ফয়েজ আহমেদ, ছাত্র জমিয়তের সভাপতি আদনান আহমেদ প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সারাদেশে হারিকেন দিয়ে খুঁজে খুঁজে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। গণতন্ত্রের ঘাতক বর্তমান সরকার বিরোধীদলের উপর বেপরোয়া দমন পীড়ন চালিয়ে নিজেদের পতনকেই ত্বরান্বিত করছে। নিজেরাই নিজেদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা সংকট তৈরি করছে। বিরোধী দলের উপর নিষ্ঠুর আচরণ বুমেরাং হয়ে তাদের জীবনেই ফিরে আসবে।
তারা বলেন, ১৯৭৪ সালে আওয়ামী সরকার বিরোধী দলের উপর নিপীড়নমূলক 'বিশেষ ক্ষমতা আইন' প্রণয়ন করেছিল। এ সরকার ১৮ কোটি মানুষকে কারাগারে আটকে রাখতে পারবে না। জনগণই ভোটারবিহীন পাতানো ভোটের আয়োজন পণ্ড করে দেবে। বিএনপির কেন্দ্রীয় ও তৃণমূল পর্যায়ে প্রায় সব নেতাকে গ্রেফতার করে আন্দোলনের দায়িত্ব জনগণের হাতে তুলে দিয়েছে।
তারা বলেন, শেখ হাসিনা সরকার বিরোধী দলকে কারাগারে ভরে ফাঁকা মাঠে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রলাপ বকছে! কতটা মাথা নষ্ট হলে দুনিয়ার সবাইকে বেকুব ভেবে এমন কর্মকাণ্ড করতে পারার কথা তারা ভাবতে পারে!