৩ দলের সমাবেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বার্তা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:৫২ এএম

ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীতে ২৮ অক্টোবর বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিশেষ বার্তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার (২৪ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ২৮ অক্টোবর নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারি এ বিষয়ে একটি প্রশ্ন করেন। প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার আসন্ন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা গুরুত্বপূর্ণ, তা হলো সব পক্ষ যেন শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে। এরমধ্যে আছেন সরকারি কর্মকর্তারা, আইন প্রয়োগকারীরা, রাজনৈতিক দলগুলো, নির্বাচন কমিশন, মিডিয়া এবং অবশ্যই ভোটাররা।
তিনি আরো জানান, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে আইনের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি সহিংসতা, হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শন থেকে বিরত থাকতে সব পক্ষের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছে।
সাংবাদিক মুশফিক মিলারের কাছে জানতে চান, সম্প্রতি রাষ্ট্রদূত পিটার হাস শুধু নিজের নিরাপত্তা নয়, দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এই মঞ্চ থেকে অনেকবার আপনি ভিয়েনা কনভেনশন সমুন্নত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। ফলে এই প্রেক্ষাপটে আপনার মন্তব্য কী?
জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমি আবারও বলব ভিয়েনা কনভেনশন অন ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশন্স-এর অধীনে কূটনৈতিক চত্বর ও এর কর্মকর্তাদের সুরক্ষিত রাখতে সবরকম যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে বাধ্যবাধকতা আছে বাংলাদেশের। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে মূল্যায়ন করে যুক্তরাষ্ট্র। আমরা আশা করি, দেশের ভেতর যুক্তরাষ্ট্রের সব মিশন ও কূটনীতিকদের সেফটি ও সিকিউরিটি রক্ষায় সব রকম উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশ সরকার।
উল্লেখ্য, বিএনপি ও সমমনা দলগুলো এখন যে দাবিতে আন্দোলনে, সেই একই দাবিতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম সংসদ নির্বাচনও বর্জন করে তারা। ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে তারা এলেও পুরনো দাবিতে ফিরে গেছে তারা।
দলটির পক্ষ থেকে এমন বক্তব্যও এসেছে, ‘২০১৪ ও ২০১৮ সালে সরকার নির্বাচন করতে পারলেও এবার আর পারবে না। আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকায় ‘মহাসমাবেশ’ এর ডাক দেয়া হয়েছে, বলা হয়েছে, সেদিন থেকে আন্দোলনের ‘মহাযাত্রা’ শুরু হবে।
তবে সরকার ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সংবিধানের বাইরে গিয়ে নির্বাচনের সুযোগ নেই। নেতাদের বক্তব্য হলো, ‘কেউ ভোটে আসবে কি আসবে না, সেটি কোনো দলের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তবে নির্বাচন কারো জন্য আটকে থাকবে না।