২৮ অক্টোবর রাজনৈতিক কর্মসূচি প্রত্যাহারের ‘অনুরোধ’

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২৩, ০১:১৯ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ

বৌদ্ধদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান প্রবারণা পূর্ণিমা আগামী ২৮ অক্টোবর। এদিন রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে বৌদ্ধ বিহারের উৎসবে অংশ নিতে মানুষের বাঁধা-বিপত্তির সম্মুখীন হতে হবে। এমন আশঙ্কা করছেন বাংলাদেশ সম্মিলিত বৌদ্ধ সমাজ। তাদের আশঙ্কা, বৌদ্ধদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের দিনে পাল্টাপাল্টি রাজনৈতিক কর্মসূচি দেশে হিংসা-বিদেশ ও দ্বন্দ্ব সংঘাত সৃষ্টি করতে পারে। ফলে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের দিনে প্রতিসংঘাত ঘটলে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অসংখ্য নারী পুরুষ ধর্ম পালনে বাধার সম্মুখীন হবেন।
নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে পাল্টাপাল্টি সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে। সেই ২৮ অক্টোবর প্রবারণা পূর্ণিমা পড়ায় রাজনৈতিক কর্মসূচি না করার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।
সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সংবাদ সম্মেলনে এ অনুরোধ জানানো হয়। বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের যুগ্ম মহাসচিব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সুমন কান্তি বড়ুয়া লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আগামী ২৮ অক্টোবর বৌদ্ধদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা। তিন মাস বর্ষাব্রত অধিষ্ঠানের পর বৌদ্ধরা প্রবারণা উৎসবে মেতে ওঠে। ওই দিনের বিশেষ আকর্ষণ আকাশে রঙ্গিন ফানুস উড্ডয়ন। এতে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

কিন্তু সেদিন ‘বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল’ মহাসমাবেশসহ নানা রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণা করায় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজন দূর থেকে বৌদ্ধ বিহারের উৎসবে অংশ নিতে বাঁধা-বিপত্তির সম্মুখীন হবেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, তাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশে বৌদ্ধদের শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা ধর্মীয় উৎসবের দিনে সকল রাজনৈতিক কর্মসূচি প্রত্যাহার করার জন্য বিশেষ অনুরোধ করা গেল।
সংগঠনের সভাপতি প্রকৌশলী দিব্যেন্দু বিকাশ চৌধুরী বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি রঞ্জিত কুমার বড়ুয়া, সাবেক সভাপতি রাহুল কান্তি বড়ুয়া প্রমুখ।
সরকারের পদত্যাগের এক দফা আন্দোলনে থাকা বিএনপি ২৮ অক্টোবর ঢাকায় যে মহাসমাবেশ ডেকেছে, সেখান থেকে চূড়ান্ত কর্মসূচি আসার কথা রয়েছে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সেদিন রাজধানী দখলে রাখার পাল্টা ঘোষণা দিয়েছে, ফলে জনমনে তৈরি হচ্ছে উদ্বেগ।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অবশ্য বলেছেন, সেদিন ‘মহাসমাবেশ’ থেকে ‘সড়কে বসে পড়ার’ মত কোনো কর্মসূচি আসছে না। শান্তিপূর্ণভাবেই তারা কর্মসূচি পালন করবেন।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, সেদিন ঢাকার রাজপথ আওয়ামী লীগেরই দখলে থাকবে।