বিদেশিদের দেখে উৎসাহিত হবে গণতন্ত্রকামীরা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৩, ০৬:০২ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বাংলাদেশে গুম, খুন ও হত্যাসহ একের পর এক মানবাধিকার হরণের বিরুদ্ধে বিদেশিরা সোচ্চার হয়েছে। মানবাধিকার হরণের যে পালা শেখ হাসিনা তৈরি করেছে, তার বিরুদ্ধে যেসব গণতন্ত্রকামী দেশ সোচ্চার হয়েছে আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই। তাদের এই সমর্থনে গণতান্ত্রকামী জনগণ উৎসাহিত হবে।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে কালো পতাকা মিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, আজ কেন শেখ হাসিনার পদত্যাগ জরুরি, আজ নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার এ জন্য জরুরি যে, দেশের মানুষ যদি ভোট দিতে চায় তাহলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে ভোট দিতে পারবে না। বাংলাদেশ থেকে নীতি-নৈতিকতা, সত্য কথা, সত্যবাদিতা সব তুলে নিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশকে গুম-খুন অপহরণের রাজ্যে পরিণত করেছেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের একটি বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন রাজনীতিতে বিদেশিদের এত মাথাব্যথা কেন। ১৯৯১ সালে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে প্রতিটি দূতাবাসে ও দাতা সংস্থাকে চিঠি দিয়েছিলেন, দেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করার জন্য। ১৯৯১ সালের নভেম্বরে দৈনিক ইনকিলাবের হেডলাইনে এসেছে, শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করার জন্য। ২০০১-‘০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল বিএনপি সরকার, সেই সময় ৫০ জন কূটনীতিকের কাছে ৫৫ দফা দাবি দিয়েছিলেন কে? এই আওয়ামী লীগ, এই মিথ্যাবাদী প্রধানমন্ত্রী, তিনি এদেশে হস্তক্ষেপ করার জন্য বলেছিলেন। আর আজকে বলেন, বিদেশিরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন রাজনীতিতে মাথা ঘামায় কেন। আপনাদের সেই কথা মনে নেই? আপনারা দফায় দফায় দেখা করে বাংলাদেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করার জন্য বলেছিলেন।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, সরকার আজ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গুম, খুন হত্যা করছেন। ইলিয়াস আলী নেই, চৌধুরী আলম নেই। তানভীর রবিনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশ, গোয়েন্দা বাহিনী হানা দিচ্ছে। আজ ভয়ের বাংলাদেশ, আতঙ্কের বাংলাদেশ, আর এটার জন্য দায়ী একমাত্র শেখ হাসিনা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মাদ শাহজাহান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, আব্দুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ।