বকেয়া বেতন পেতে বাধা নেই জবি শিক্ষক রাজীব মীরের

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২৩, ০৬:৩১ পিএম

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রয়াত সহযোগী অধ্যাপক মীর মোশাররফ হোসেনকে (রাজীব মীর) বরখাস্ত করার আদেশ বাতিল ও অবৈধ ঘোষণার হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এতে তার পাওনা সকল বকেয়া বেতন পেতে পরিবারের আর কোনো বাধা রইলো না।
সোমবার (২১ আগস্ট) হাইকোর্টের রায়ের বিপক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের করা আপিল শুনানিতে খারিজ করে দেন-আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি মো. বোরহান উদ্দিন ও বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকীর সমন্বিত আপিল ডিভিশনের বেঞ্চ।
রাজীব মীরের আইনজীবী তায়্যিব-উল-ইসলাম সৌরভ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হাইকোর্টে রাজীব মীরের পক্ষে ছিলেন আরো আইনজীবী ছিলেন ড. শাহদীন মালিক ও আইনজীবি এম. মঞ্জুর আলম। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ব্যারিস্টার তানজীব উল আলম ছিলেন।
রাজীব মীরের স্ত্রী সুমনা খান বলেন, আমার স্বামী রাজীব মীর নির্দোষ। দীর্ঘ আইনী লড়াই শেষ হলো। তিনি (রাজীব মীর) বেঁচে থাকলে আজ অনেক খুশি হতেন। আমার ৬ বছরের একটা মেয়ে। তার বাবার বকেয়া বেতন টুকুই সম্বল। আইনী খরচ চালাতে গিয়ে আমরা একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছি। বিশ্ববিদ্যালয় আমার স্বামীর চাকরি ফিরিয়ে দিতে পারবে না। কিন্তু যদি দ্রুত পাওনা বকেয়া বেতন দিয়ে দেয় আমাদের জন্য অনেক উপকার হবে।
এর আগে ২০১৭ সালের ১০ জুলাই রাজিব মীরকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর তিনি আদালতে রিট করেন। তবে ২০১৮ সালের ২১ জুলাই চেন্নাইয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজীব মীর মারা যান। এরপর তার স্ত্রী সুমনা খান রিটটির পক্ষভুক্ত হন।
পরে ওই রিটের আদেশে হাইকোর্ট রাজীব মীরের বরখাস্তের সিদ্ধান্ত বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করে। এছাড়া মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বেতন-ভাতাদি পরিশোধ করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়। তবে কয়েক বছর হয়ে গেলেও মৃত রাজীব মীরের পরিবারকে পাওনা বুঝিয়ে দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।