নির্বাচন ঘনিয়ে এলে বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২৩, ০৬:১৯ পিএম

জাহাঙ্গীর কবির নানক। ছবি: ভোরের কাগজ
# তারেককে লাদেন রহমান বললেন নানক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে আল-কায়দা নেতা ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে তুলনা করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেছেন, দন্ডিত পলাতক আসামি তারেক রহমান এখন লাদেন রহমান পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ শান্তির সমাবেশের ডাক দিয়েছে। কেন এবং কি কারণে এ সমাবেশে ডাক দেওয়া হয়েছে? কারণ নির্বাচন যত সন্নিকটে আসে বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বানচাল করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। তারা গণতান্ত্রিক পন্থা বাদ দিয়ে একটি ভুতুড়ে সরকার কায়েম করতে চায়। বিএনপির নেতারা গণতন্ত্রের কথা বলে কিন্তু তাদের জন্ম হয়েছিল সামরিক ছাউনিতে। জিয়ার পকেট থেকে বিএনপির জন্ম হয়েছিল। বিএনপির নেতা জিয়ার রহমান কারফিউ দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিল।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের যৌথ আয়োজিত শান্তির সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ কেটে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এই সময় তারেক রহমানকে ইঙ্গিত করে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, লন্ডনে বসে সন্ত্রাসের হুমকি দেন। এখন লাদেন রহমান হয়েছেন। আর লন্ডন থেকে প্রসাদসম বাড়িতে বসে বাংলাদেশে চাঁদাবাজি করে বাংলাদেশকেই রণক্ষেত্রে পরিণত করবেন। লণ্ডনে বসে সরকারি কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন। আর সে পালিয়ে গিয়ে লণ্ডনে যে বসবাস করে, কোথা থেকে এলো সে টাকা। আপনারা নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করবেন না, করতে চাইলে যুব-স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রলীগ রাজপথে রুখে দিবে।
তিনি বলেন, সামরিক জান্তা জিয়াউর রহমান বিএনপির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ওরা বলে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা। ভুলে গেলে চলবেনা- হিন্দুরা নৌকায় ভোট দেয় বলে হিন্দুদের বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে বিএনপি। অথচ তারা আমাদের বলে গণতন্ত্রের কথা। বিএনপি রাস্তায় নামলে দেশের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে যায় মন্তব্য করে নানক বলেন, ১৪ সালে নির্বাচন বয়কটের নামে রাস্তা-গাছপালা, রেললাইন উপড়ে ফেলেছিল। হিন্দুরা নৌকায় ভোট দেয়, এজন্য ২০০১ সালে এরা হিন্দুদের বাড়ি লুটপাট করেছে।
নেতাকর্মীদের সতর্ক করে আওয়ামী লীগের এই সভাপতিমণ্ডলীর আরো সদস্য বলেন, সামনেই শোকের আগস্ট মাস। আমাদের মনে রাখতে হবে - আগস্ট এলেই ওই পরাজিত শক্তি, ওই খুনিরা রক্ত পিপাসু হয়ে ওঠে। ওই খুনিদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে।
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দলের অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন।