সাংবাদিক রব্বানি হত্যায় ৯ জন রিমাণ্ডে

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২৩, ০৩:৩২ পিএম

সাংবাদিক গোলাম রব্বানি
জামালপুরে সাংবাদিক গোলাম রব্বানির হত্যা মামলার ৯ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের হেফাজতে দিয়েছেন আদালত। পুলিশের তরফ থেকে ৯ জনের জন্যই ৫ দিন করে রিমাণ্ড চাওয়া হলেও জামালপুর জেলা আদালতের বিচারক চার আসামিকে চার দিন ও পাঁচ আসামিকে তিন দিন করে রিমাণ্ডে পাঠিয়েছেন।
রবিবার (১৮ জুন) দুপুরে জামালপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারক তানভীর আহম্মেদ এ রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন।
রবিবার দুপুরে জামালপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারক তানভীর আহম্মেদ এ রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন।
আসামিদের মধ্যে যে চার জনের চার দিন করে রিমাণ্ড মঞ্জুর হয়েছে তারা হলেন- বকশীগঞ্জ উত্তর বাজার এলাকার মো.গোলাম কিবরিয়া ওরফে সুমন (৪৩), মালিরচর নয়াপাড়া এলাকার মো.মিলন (২৫), নামাপাড়া এলাকার মো.তোফাজ্জল (৪০) ও একই এলাকার মৃত আজিজুল হকের ছেলে মো. আয়নাল হক (৫৫)।
যে পাঁচ আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে তারা হলেন- সাধুরপাড়া এলাকার মো.কফিল উদ্দিন (৫৫), দক্ষিণ কুতুবের চর গ্রামের মো.ফজলু মিয়া (৩৫) ও মো.শহিদ (৪০), মোল্লাপাড়া মসজিদপাড়া গ্রামের মো.মকবুল (৩৫), সর্দারপাড়া মেরুরচর গ্রামের মো. ওহিদুজ্জামান (৩০) ।
সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আটক ব্যক্তিদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল শনিবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে পুলিশ ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে ৯ জনকে আদালতে প্রেরণ করেছিল। আদালত আজ রবিবার শুনানির দিন ধার্য করেন। সেই অনুযায়ী জামালপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তানভীর আহম্মেদ এ রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন।
এ ছাড়া প্রধান আসামি সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম ওরফে বাবুসহ (৫০) চারজনকে সাত দিনের রিমাণ্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বকশীগঞ্জ থানা থেকে ওই চারজনকে জেলা আদালতে পাঠানো হয়।
অন্য তিন আসামি হলেন রেজাউল করিম (২৬), মো. মনিরুজ্জামান ওরফে মনিরুল (৩৫) ও জাকিরুল ইসলাম (২৮)। চারজনের মধ্যে রেজাউল করিমকে বগুড়া থেকে এবং বাকি তিনজনকে পঞ্চগড় থেকে র্যাব গ্রেপ্তার করে।
এ ছাড়া প্রধান আসামি সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম ওরফে বাবুসহ (৫০) চারজনকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বকশীগঞ্জ থানা থেকে ওই চারজনকে জেলা আদালতে পাঠানো হয়।