জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত উৎসব শুরু আজ

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ মে ২০২৩, ১২:৩০ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
রবীন্দ্রনাথের গান আবহমানকালের বাঙালি সংস্কৃতির মূলধারাকে বিকশিত ও সমৃদ্ধ করে চলেছে। এদেশের সংস্কৃতিমনা মানুষের কাছে রবীন্দ্রসংগীত হয়ে উঠেছে জাতীয় সংস্কৃতি বিকাশের প্রধানতম অবলম্বন ও প্রাতঃস্মরণীয়। সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা দূর করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশবাসী; বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে ঋদ্ধ করতে হাজার বছরের সংস্কৃতির ধারাকে আরো বেগবান ও বিকশিত করে তুলতে এবং অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে আসছে বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা।
১৬২তম রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে ৩৩ বছরের ধারাবাহিকতায় রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আজ সকাল ১০টায় শুরু হচ্ছে দুই দিনের ‘চতুস্ত্রিংশ (৩৪তম) জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত উৎসব’।
উৎসবের উদ্বোধন করবেন বিদ্যুৎ, জ্বলানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। সভাপতিত্ব করবেন সংস্থার নির্বাহী সভাপতি আমিনা আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য দেবেন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক পীযূষ বড়ুয়া।
এবারের উৎসবের প্রতিপাদ্য- ‘করিস নে লাজ, করিস নে ভয়,/আপনাকে তুই করে নে জয়…।’ উৎসবে বিশেষ সম্মাননা দেয়া হবে কিংবদন্তি গিটার শিল্পী এনামুল কবীর ও প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী লিলি ইসলামকে।
উৎসব উপলক্ষে সংস্থার নির্বাহী সভাপতি আমিনা আহমেদ বলেন, শুদ্ধ সংস্কৃতি বিকাশের পথে নানাবিধ প্রতিবন্ধকতা যেন আমাদের বারবার রবীন্দ্রনাথের কাছেই ফিরিয়ে নিয়ে যায়। রবিঠাকুর প্রতিক্ষণ আমাদের জাতীয় এবং বাঙালি প্রাত্যহিক জীবনের জন্য প্রাসঙ্গিক।
তিনি আরো বলেন, আমরা সুস্থ সংগীত বিকাশে ভবিষ্যৎ বংশধরদের জন্য পঙ্কিলতামুক্ত একটি সুন্দর সংস্কৃতিবান্ধব আগামী গড়ার সংগ্রামে লড়াই করে যেতে চাই। বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
দুই দিনের উৎসবে দেশের খ্যাতনামা বেশ কয়েকজন শিল্পী ছাড়াও সংস্থার শতাধিক শিল্পী তিন অধিবেশনে দলীয় ও একক পরিবেশনায় অংশ নেবেন।
অনুষ্ঠানের সূচনা হবে প্রথা অনুযায়ী তিনটি কোরাসের মধ্য দিয়ে। এরপর দেয়া হবে গুণীজন সম্মাননা। প্রথম দিনের অনুষ্ঠান দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমদিনে প্রথম অধিবেশনে উদ্বোধন ও গুণীজন সম্মাননা। চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। মাঝে কয়েক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু সন্ধ্যা ৬টায়। পরের দিন ১৩ মে (শনিবার) তৃতীয় ও সমাপনী অধিবেশন একই ভেন্যুতে বিকাল ৫টায়। এদিনও বেশ কয়েকজন দেশসেরা আবৃত্তি ও কণ্ঠশিল্পী অংশ নেবেন। এদিনের সূচনাতেও থাকবে সংস্থার প্রথা অনুযায়ী পর পর তিনটি কোরাস। উৎসব সবার জন্য উন্মুক্ত।