তৃতীয় দিনেও বাস কাউন্টারগুলো ফাঁকা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২৩, ১২:৪৩ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে ১৭ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল নিষিদ্ধ
ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রির তৃতীয় দিনেও রাজধানীর দূরপাল্লার বাস কাউন্টার গুলোতে ভিড় নেই। যাত্রীর আকাল থাকা সত্ত্বেও আজ থেকে বিআরটিসি বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে প্রথম দিনে যাত্রীর দেখা মেলেনি।
এদিকে নৌপথে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং দুর্ঘটনা এড়াতে আগামী ১৭ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বালুবাহী বালখেট চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে নৌ পুলিশ কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (৯ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় রাজধানীর বৃহত্তম বাস টার্মিনাল গাবতলী এলাকার বাস কাউন্টারগুলোতে দূরপাল্লার বাসের অগ্রিম টিকিট প্রত্যাশীদের ভিড় দেখা যায়নি।
উত্তরবঙ্গের অন্যতম জনপ্রিয় নাবিল পরিবহনের কর্মচারী সোহরাব জানান, অনলাইনেই বেশিরভাগ টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। প্রতিবার ঈদের আগে অগ্রিম টিকিটের জন্য লোকজনকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয়। করোনা মহামারীর সময়ও টিকিটের জন্য লাইন ধরতে দেখা গেছে। কিন্তু এবার একেবারেই ভিন্ন চিত্র, টিকিটের জন্য কোন ধরনের আগ্রহ নেই।
খালেদ পরিবহনের নন এসি বাসের টিকিটের জন্য চার পাঁচ জনকে কাউন্টারে অপেক্ষামান দেখা যায়। কয়েক মিনিটের মধ্যেই তারা টিকিট কেটে চলে যান। আবুল হোসেন জানান তিনি ১৮ তারিখে রাতের বাসের রংপুরে যাওয়ার জন্য টিকিট পেয়েছেন। টিকিট পেতে কোন ভোগান্তি হয়নি।
একই অবস্থা দেখা গেছে, আগমনী পরিবহন, হানিফ পরিবহন, স্টার লাইন পরিবহন, শ্যামলী পরিবহন, শ্যামলী এন আর পরিবহনসহ সব পরিবহনের কাউন্টারগুলোতে। কাউন্টারগুলো একেবারে ফাঁকা দেখা গেছে।
এদিকে নৌযাত্রা নিরাপদ করতে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। এবার সুষ্ঠু ঈদ যাত্রা নিশ্চিত করতে নৌ পুলিশের পাশাপাশি তদরগিতে থাকবে ভ্রাম্যমান আদালত। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমান আদালত কঠোরভাবে কাজ করবে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে। ঈদ যাত্রা শুরু হলে আগামী ১৭ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত নদীগুলোতে বালবাহী বাল্কহেড চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে নৌ পুলিশ কর্তৃপক্ষ। অতীতে দেখা গেছে ঈদের আগে নৌযানের সংখ্যা ও চলাচল বেড়ে যায়। যাত্রীর চাপ থাকে প্রতিটি নৌযান। রাতের বেলায় বল খেলে সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই ধরনের নৌ দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বাল্কহেড চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ঝড় বৃষ্টির মৌসুমী থাকায় লঞ্চগুলোতে জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জামের বাড়ানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ঢাকা পটুয়াখালী, ঢাকা বরিশাল, ঢাকা হুলারহাট ভান্ডারিয়া, ঢাকা ভোলা, ঢাকা রাঙ্গাবালী সহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন নৌরুটে প্রতিদিন শতাধিক লঞ্চ চলাচল করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।