বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের উদ্বোধন

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৩, ০৫:৪৩ পিএম

শনিবার ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্র:ধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: বিটিভি থেকে
ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের উদ্বোধন করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
শনিবার (১৮ মার্চ) বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দুই দেশের সরকার প্রধান এ পাইপলাইনের যৌথভাবে উদ্বোধন করেন।
এর ফলে বলা হচ্ছে, উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত হবে। [caption id="attachment_415462" align="aligncenter" width="700"]
ভারতের আসাম রাজ্যের নুমালিগড় রিফাইনারির শিলিগুড়ি মাকেটিং টার্মিনাল থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার বাংলাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে পঞ্চগড়, নীলফামারী, দিনাজপুর হয়ে পার্বতীপুর ডিপোতে সংযুক্ত হয়েছে পাইপলাইনটি। শিলিগুড়ির নুমালিগড় রিফাইনারি থেকে ইন্দো-বাংলা ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানির জন্য বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) পার্বতীপুরের রিসিভ টার্মিনালটি এখন প্রস্তুত।
গত ১০ মার্চ পরিদর্শনে গিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ও বিপিসির চেয়ারম্যান একে আজাদ জানিয়েছেন, রিসিভ টার্মিনালের কন্ট্রোল রুমটি সবচেয়ে অত্যাধুনিক, কম্পিউটারাইজ ও অটোমেটেড। যা যুক্ত হেড অফিসের সঙ্গে। দপ্তরে বসেই মোবাইলে পাইপলাইনের তেলের পরিস্থিতি দেখতে পারবেন। মাঠ পর্যায়ে পাইপলাইনের কেউ ক্ষতির চেষ্টা করলে তা কন্ট্রোল রুমে ধরা পড়বে। পাইপলাইনের নিরাপত্তায় বাংলাদেশ অংশে ১২৬ কিলোমিটার দূরত্বে প্রতি ৩০ কিলোমিটারে পাঁচটি এসভি স্টেশন (সেকশনালাইজিং ভালভ) স্থাপন করা হয়েছে। ভারতকে যে মানের নমুনা দেওয়া হয়েছে সেভাবেই ১০ পিপিএম উন্নতমানের রিফাইন ডিজেল আসবে।
[caption id="attachment_415467" align="aligncenter" width="700"]
তারা আরো জানান, উত্তরের ১৬ জেলায় নিরবচ্ছিন্নভাবে ও সারা বছর ডিজেল সরবরাহ রাখতে এই ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন ভূমিকা রাখবে। আগে খুলনা ও চট্টগ্রাম থেকে রেল ওয়াগনের মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলে তেল পরিবহনের তেল আসতে সময় লাগত ছয়-সাতদিন। সাশ্রয়ী উপায়ে দ্রুত ও নিরবচ্ছিন্নভাবে দেশের উত্তরাঞ্চলে জ্বালানি সরবরাহে এটি একটি মাইলফলক হবে।
পাইপলাইনের মাধ্যমে আমদানি করা ডিজেল সংরক্ষণের জন্য পার্বতীপুর রিসিভ টার্মিনাল সাইডে ২৯ হাজার টন ধারণক্ষমতার একটি বাফার ডিপো নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া, ১০ হাজার টন জ্বালানি মজুতের সক্ষমতা রয়েছে।
বিপিসির সূত্র জনায়, চুক্তি অনুযায়ী ভারত ১৫ বছর ডিজেল সরবরাহ করবে। এর মধ্যে প্রথম তিন বছর দুই লাখ টন, পরবর্তী তিন বছর তিন লাখ টন ও এরপরের চার বছর পাঁচ লাখ টন, অবশিষ্ট পাঁচ বছরে ১০ লাখ টন তেল সরবরাহ করবে। এরপর চুক্তি নবায়ন করা হবে। নচেৎ পাইপলাইনের মালিকানা বাংলাদেশের কাছে থাকবে। পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুরের মেঘনা পেট্রোলিয়াম ডিপো পর্যন্ত বিস্তৃত পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে বাংলাদেশে ডিজেল আমদানির জন্য ২০১৭ সালে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।