ম্যানেজার-বিক্রয়কর্মীর মরদেহ উদ্ধার

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২৩, ১২:৩০ এএম

নিখোঁজ আনিকা এজেন্সির মালিক মনিরুদ্দীন সুমন। ছবি: ভোরের কাগজ
খোঁজ মেলেনি মালিক সুমনের
গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণ ঘটা ভবনের নীচ তালায় আনিকা এজেন্সির (স্যানিট্যারি) দোকান। ঘটনার সময় মালিক মনিরুদ্দীন সুমন (৪০), ম্যানেজার ইসমাইল (৪২) ও মালিক সুমনের ভাতিজা বিক্রয়কর্মী সম্রাটের (৩২) দোকানে ছিলেন।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিস্ফোরণে ইসমাইল ও সম্রাটের মরদেহ উদ্ধার হলেও এখনো খোঁজ মেলেনি মালিক সুমনের। সুমনের বাড়ি পুরান ঢাকার মালিটোলা। তার খোঁজ পেতে বন্ধুরা অপেক্ষা করছেন ঘটনাস্থলে।
এসময় সুমনের বন্ধুদের মধ্যে হানিফুর রহমান ফয়সাল বলেন, আনিকা এজেন্সির দোকানের ম্যানেজার ইসমাইল (৪২) ও মালিক সুমনের ভাতিজা বিক্রয়কর্মী সম্রাটের (৩২) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনো মালিক মনিরুদ্দীন সুমনের (৪০) খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। সুমন ঘটনার ৫ মিনিট আগে পাশের দোকান থেকে চা খেয়ে দোকানে যান। ঘটনার সময় সে দোকানের ভিতরেই ছিল। তার খোঁজ পেতে আমরা বন্ধুরা এসেছি। তার ফোনে কল ঢুকছে। কিন্তু তাকে পাওয়া যাচ্ছে না।
এর আগে এদিন বিকাল পৌনে পাঁচটার দিকে গুলিস্তানে ফুলবাড়িয়ায় বিআরটিসি কাউন্টারের দক্ষিণ পাশে পাঁচতলা ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত ১৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকে। বিস্ফোরণ হওয়া নর্থ সাউথ রোডের ১৮০/১ হোল্ডিংয়ের এই ভবনে স্যানেটারি পণ্যের দোকান ও একটি বেসরকারি ব্যাংকের কার্যালয় রয়েছে।
নিখোঁজ সুমনের ছোট ভাই নিয়াজ মোর্শেদ তাওহীদ বলেন, সবার খোঁজ মিললেও আমার ভাইয়ের খোঁজ পাইনি। ফায়ারসার্ভিসের কর্মকর্তাদের কাছে মিনতি করে জানান, আমার ভাইকে উদ্ধার করে দিন।
ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে চাননি। তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলতে বললেও কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে পরবর্তীতে জানান, ভিতরে একজন আছে বলে স্থানীয়রা বলছেন। তবে আমরা ভিতরে কারও উপস্থিতি নিয়ে নিশ্চিত না। উদ্ধার কার্যক্রম নিয়ে তিনি বলেন, এখন উদ্ধার কার্যক্রম সেনাবাহিনী নেতৃত্ব দিচ্ছে। তারা উদ্ধার কার্যক্রম সম্পর্কে জানাবে।