ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনীতির চেষ্টা করছে একটি মহল

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৬:৪৯ পিএম

শুক্রবার পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার শ্রী শ্রী সীতানাথ মহাক্ষেত্র ধাম পেড়ালবাড়ী সমিতির ডাঙ্গায় রায় ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার ১৫৮তম জন্মোৎসব উদযাপনকালে বক্তব্য রাখেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। ছবি: ভোরের কাগজ
রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ধর্মকে ব্যবহার করে একটি মহল রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। অথচ দেশের হিন্দু-মুসলিম, বৌদ্ধ-খৃস্টানসহ সব জাতি ধর্ম-বর্ণ এক হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে। ধর্মীয় সম্প্রীতি অনন্য দৃষ্টান্তের এই দেশ ধর্ম নিরপক্ষতা বজায় রেখে সবাই সমান অধিকার নিয়ে এেই সাথে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মধ্যে বসবাস করছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জের শ্রী শ্রী সীতানাথ মহাক্ষেত্র ধাম পেড়ালবাড়ী সমিতির ডাঙ্গায় রায় ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার ১৫৮তম জন্মোৎসব উদযাপন উপলক্ষে ক্ষত্রিয় মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন রেলমন্ত্রী। এর আগে, বাংলাদেশ ক্ষত্রিয় সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি শ্রী গোঁরাচাদ অধিকারী মহাসম্মেলনের উদ্বোধন করেন তিনি।
রেলমন্ত্রী বলেন, তবে ধর্মীয় সম্প্রীতির এই দেশে ধর্মকে ব্যবহার করে একটি মহল রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। তাদের এই অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
বাংলাদেশ ক্ষত্রিয় সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি ডা. বসন্ত কুমার রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ক্ষত্রিয় মহাসম্মেলনে বাংলাদেশ ক্ষত্রিয় সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা নৃপেন্দ্র নাথ রায়, সদস্য সচিব শ্রী হারাধন রায়, সম্মেলনের আহ্বায়ক শ্রী নির্মল চন্দ্র বর্মন, ভারতের জলপাইগুড়ি জেলার পঞ্চানন বর্মা স্মারক সমিতির সভাপতি ও জলপাইগুড়ির সাবেক সাংসদ শ্রী বিজয় চন্দ্র বর্মন, সাধারণ সম্পাদক শ্রী গিরীন্দ্র নাথ বর্মন, কলিকাতা ক্ষত্রিয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক শ্রী ধীরেন্দ্র নার্থ বর্মা কেন্দ্রীয় যুব লীগ নেতা ব্যারিস্টার কৌশিক নাহিয়ান নাবিদ, দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গোলাম ফেরদৌস, আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, হাসনাৎজ্জামান চৌধুরী জর্জ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ পঞ্চগড় জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জীবধন বর্মন ও সাধারণ সম্পাদক বিপেন চন্দ্র রায় বক্তব্য দেন।
মহাসম্মেলনে পঞ্চগড় ঠাকুরগাঁও ও নীলফামারী জেলার কয়েক হাজার ক্ষত্রিয় সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ ও রায় ঠাকুর পঞ্চাননের ভক্ত ভারতীয় শতাধিক ক্ষত্রিয় সম্প্রদায়ের মানুষ অংশ নেন। জন্মোৎসব উদযাপন উপলক্ষে দিনব্যাপী পূজা-অর্চনা ও ধর্মীয় আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে তিনদিনব্যাপী মেলার আয়োজন করা হয়।