লঞ্চ চলাচলও বন্ধ হতে পারে বরিশালে

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২২, ০৮:৫২ এএম

ফাইল ছবি
বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ কেন্দ্র করে বরিশালে দু’দিন বাস ও তিন চাকার যানবাহন বন্ধ ঘোষণার পর এবার যাত্রীবাহী লঞ্চ বন্ধ করার ঘোষণাও আসতে পারে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, ৪ ও ৫ নভেম্বর লঞ্চ বন্ধ রাখার জন্য মালিকদের ওপর স্থানীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে চাপ দেয়া হচ্ছে। ফলে যে কোনো সময় লঞ্চ বন্ধের ঘোষণাও আসলে আসতে পারে।
এ প্রসঙ্গে একাধিক লঞ্চ মালিক এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক পরিমল চন্দ্র দাস পোর্ট রোড লঞ্চ মালিক সমিতি ভবনে গিয়ে শুক্র ও শনিবার লঞ্চ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। এরপর সমিতির পক্ষ থেকে মালিকদের ফোন করে দু’দিন লঞ্চ বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হচ্ছে।
একাধিক মালিকের বক্তব্য এরকম যে, পরিমল দাস নির্দেশ দেয়ায় লঞ্চ মালিকরা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন। কারণ, তিনি বরিশাল লঞ্চঘাটের তালিকাভুক্ত শ্রমিক। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তিনি শ্রমিক লীগের দাপুটে নেতায় পরিণত হন। তিনি লঞ্চঘাটের নিয়ন্ত্রক ছাড়াও মোটরযান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি।
এ বিষয়ে পরিমল চন্দ্র দাসকে ফোন দেয়া হলে তিনি উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলেন, লঞ্চ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
কেন বন্ধ হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা কি জানেন না, কেন বন্ধ হবে?
তিনি লঞ্চ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে বলেন, আমি তো সাধারণ শ্রমিক, আমি কেন লঞ্চ বন্ধ করতে বলবো? শুনেছি, মালিকদের কিছু দাবি আছে; তাই তারা দুই দিন লঞ্চ বন্ধ রাখবেন।
এ বিষয়ে জানতে লঞ্চ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌযাত্রী পরিবহন সংস্থার কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বরিশাল জেলা শাখার আহ্বায়ক মাহবুব উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম বলেন, লঞ্চ বন্ধ রাখার জন্য তিনি কাউকে নির্দেশনা দেননি। সংগঠনের নেতা হিসেবে এসব বিষয়ে তার জানাও নেই।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের বরিশাল জেলা সভাপতি মাস্টার হাশেম জানান, শ্রমিকদের স্থানীয় পর্যায়ে কোনো দাবি-দাওয়া নেই। তাই স্থানীয়ভাবে কোনো ধর্মঘট করার পরিকল্পনাও তাদের নেই।
নৌযান শ্রমিকদের এই নেতা আরও বলেন, শুনেছি খুলনায় বিএনপির গণসমাবেশের সময় ওপর মহলের নির্দেশে লঞ্চ বন্ধ রাখা হয়েছে। বরিশালেও এ ধরনের কোনো নির্দেশ এলে শ্রমিকরা লঞ্চ চালাবেন না।