×

জাতীয়

ফতুল্লায় স্কুলছাত্রী ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ৪ আসামির মৃত্যুদণ্ড

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২২, ১২:২৬ পিএম

ফতুল্লায় স্কুলছাত্রী ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ৪ আসামির মৃত্যুদণ্ড

ফাইল ছবি

ফতুল্লায় স্কুলছাত্রী ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ৪ আসামির মৃত্যুদণ্ড

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিদের মধ্যে তিনজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন

   

২০০৫ সালে দায়ের করা এ মামলায় একজনকে খালাস দেয়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় স্কুলছাত্রী ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন- কামরুল হাসান, রবিউল, আলী আকবর ও শুক্কুর আলী। চার আসামিকে সহায়তাকারী হিসেবে ডলি বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। এই মামলায় নাসরিন আক্তার নামে আরেক আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় পলাতক ছিল রবিউল ও ডলি বেগম। বাকিরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলো।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রকিবুদ্দিন আহমেদ বলেন, ষষ্ঠ শ্রেণীর স্কুলছাত্রী আফসানা আক্তার মিতাকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় ২০০৫ সালে জুনে মামলা হয়। এ মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন ও একজনকে খালাস দিয়েছে আদালত।

[caption id="attachment_376459" align="aligncenter" width="1367"] মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিদের মধ্যে তিনজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন[/caption] জানা যায়, ২০০৫ সালের ৩ জুন সকালে ফতুল্লার মুসলিম নগরের কেএম স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী আফসানা আক্তার নিপাকে বক্তাবলী লক্ষ্মীনগর এলাকায় একটি ক্ষেতে নিতে ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল ১১ বছর। বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইদুল হাসান সুমন বলেন, ঘটনার দিন কামরুল, রবিউল, শুক্কুর আলী তিনজন মিলে ধর্ষণ করেন। এ সময় আলী আকবর ছিলেন বক্তাবলীর ওই দিকের ট্রলার চালক। কান্নার আওয়াজ পেয়ে ছুটে যান আলী আকবর। গিয়ে দেখেন ৩ জন মেয়েটিকে ধর্ষণ করছেন। এ সময় পুলিশকে বলে দেবেন জানালে আলী আকবরকে হত্যার এবং তার স্ত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দিয়ে তাকে দিয়ে পাহারা দিতে বলেন বাকি ৩ জন। পরে ধর্ষণ শেষে আলী আকবরকেও ধর্ষণ করতে বলা হলে তিনি দেখেন মেয়েটির অবস্থা গুরুতর। পরে তিনি আর ধর্ষণ করেননি। সাইদুল হাসান সুমন জানান, পরে মেয়েটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর প্রথমে ডলি আক্তারের বাসায় ও পরে নাসরিনের বাসায় নেওয়া হয়। দুজনে মিলে লাশটি আবার ক্ষেতে নিয়ে ফেলে আসেন। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আক্তার হোসেন ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত আজ এ মামলার রায় ঘোষণা করেছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App