গণপরিবহনে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া আদায়

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০২২, ১২:০৪ পিএম

ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট সামনে বাড়তি ভাড়াসহ বেশ কয়েকটি অপরাধের প্রমাণ পেয়ে জরিমানা করেন বিআরটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। ফাইল ছবি

ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট সামনে বাড়তি ভাড়াসহ বেশ কয়েকটি অপরাধের বিচারে তৎপর ভ্রাম্যমান আদালত। ছবি: ভোরের কাগজ
সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়েও গণপরিবহনে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া আদায় করছে পরিবহন শ্রমিকরা। এই বাড়তি ভাড়া আদায় নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকদের চলছে তর্কবিতর্ক, কথা কাটাকাটি এমনকি পরিস্থিতি হাতাহাতি পর্যায়েও পৌঁছেছে।
রবিবার (৭ আগস্ট) থেকে নতুন ভাড়া কার্যকর হয়েছে। বাসগুলোতে এখনও বিআরটিএ নির্ধারিত ভাড়ার চার্ট টাঙানো হয়নি। তাছাড়া নতুন ভাড়া কার্যকরের প্রথম দিন যাত্রীরাও এলাকা ভেদে দূরত্ব সম্পর্কে অবহিত নন। এ অবস্থায় পরিবহন শ্রমিকরা যাত্রীদের কাছ থেকে ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করছে। চালক ও কন্ট্রাক্টর যে ভাড়া বলছেন, তা দিতে বাধ্য হচ্ছেন যাত্রীরা। এমনই অভিযোগ করেছেন মিডলাইন পরিবহনের যাত্রী আনিসুর রহমান। এ নিয়ে ঘটেছে হাতাহাতির ঘটনাও।
বাসভাড়া বৃদ্ধির পর এখনও রাজধানীর রাস্তায় সব বাস নামেননি। এ কারণে এখনও পরিবহন সংকটে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। উপায় না পেয়ে অনেকেই পরিবহন কর্মীদের চাহিদার অনুযায়ী ভাড়া দিয়েই গন্তব্যে যাচ্ছেন।
[caption id="attachment_361471" align="aligncenter" width="700"]
আনিসুর রহমানের অভিযোগ, প্রতি কিলোমিটার ৩৫ পয়সা ভাড়া বাড়ানো হয়েছে, কিন্তু বাসের কন্ট্রাক্টররা কয়েক গুণ বাড়তি ভাড়া আদায় করছে। যাত্রীরা গন্তব্যের দূরত্ব না জানার কারণে, এবং পরিবহনের কর্মীরা নিজেদের ইচ্ছেমতো দূরত্ব ধরে হারা আদায়ের কারণে যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
যাত্রীদের পকেট কাটা যাচ্ছে। উত্তরা থেকে মালীবাগের দূরত্ব ১৬ কিলোমিটার। এই দূরত্বে প্রায় পাঁচ টাকার ভাড়া বাড়ার কথা। কিন্তু ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি ভাড়া চাওয়া হচ্ছে। যাত্রীরা প্রতিবাদ করলেই তর্কবিতর্ক এমনকি হাতাহাতি পর্যন্ত শুরু হয়।
বাড়তি ভাড়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বাস চালক আহমেদ বলেন, এখনও বিআরটিএ’র ভাড়ার তালিকা তাদের হাতে এসে পৌঁছেনি। তাই আগের ভাড়া অনুযায়ী আন্দাজের ওপর দূরত্ব ধরে কন্ট্রাক্টর যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করছে। তালিকা পাওয়ার পর সরকারের নির্ধারিত ভাড়া আদায় করা হবে। কোনো কোনো রুটের বাসগুলো কিলোমিটার প্রতি এক টাকারও বেশি বাড়িয়ে ভাড়া আদায় করছে। বিআরটিএ এখনো নতুন ভাড়ার চার্ট পরিবহন গুলোকে সরবরাহ করেনি।
অন্যদিকে বাস ভাড়ার নৈরাজ্য প্রতিরোধে বিআরটিএ'র ভ্রাম্যমান আদালতের তৎপরতাও শুরু হয়েছে। শনিবার ভাড়া বাড়ানোর পর বিআরটিএ চেয়ারম্যান আশ্বস্ত করেছিলেন ভ্রাম্যমান ম্যাজিস্ট্রেট সড়কে তদারকিতে থাকবে। সকাল থেকে বিআরটিএ'র ভ্রাম্যমান আদালত সকালে মহাখালী বাস টার্মিনাল এলাকায় তৎপরতা চালাতে থাকে।