রাষ্ট্রপতির ছেলের ড্রাইভারকে মারধর: তদন্ত প্রতিবেদন ২৫ আগস্ট

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২২, ০১:২৮ পিএম

আসামি কৌশিক সরকার সাম্য
গাড়ির হর্ন দেয়ায় উত্তেজিত হয়ে রাষ্ট্রপতির ছেলের গাড়ির ড্রাইভার মো. নজরুল ইসলামকে মারধরের অভিযোগে কৌশিক সরকার সাম্য নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৫ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন তদন্ত কর্মকর্তা ওয়ারী থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জহির হোসেন প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এ জন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিলের আগামী ২৫ আগস্ট নতুন তারিখ ধার্য করেন। সংশ্লিষ্ট আদালত সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।
কৌশিক সরকার সাম্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সঙ্গীত বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তাকেসহ এ মামলায় অজ্ঞাত আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। গত ২৭ জুন রাতে মারধর ও হত্যার হুমকির অভিযোগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ড্রাইভার পরিচয়ে ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ওয়ারী থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে অভিযোগে বলা হয়, গত ২৬ জুন সন্ধ্যা সাতটার দিকে চালক নজরুল ইসলাম বঙ্গভবন থেকে রাষ্ট্রপতির নাতি ইসা আব্দুল্লাহকে (৮) প্রাইভেট পড়তে রাজধানীর ওয়ারী থানাধীন চামু ডেল্টার মোড়ে নিয়ে যান। সেখানে রাষ্ট্রপতির নাতিকে নামিয়ে দিয়ে বঙ্গভবনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে ওয়ারী থানাধীন চামু ডেল্টার মোড় হতে টিপু সুলতান রোডের মাথায় পৌঁছান তিনি।
ওই সময় আসামি কৌশিক সরকার সাম্য মোবাইলে কথা বলতে বলতে রাস্তা পার হচ্ছিলো। তখন ড্রাইভার নজরুল পেছন থেকে হর্ণ দিলে সাম্য উত্তেজিত হয়ে গাড়ির দিকে তেড়ে আসেন ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে ড্রাইভারের মুখে থুথু নিক্ষেপের পর গাড়ির পেছনে জোরে লাথি মারেন সাম্য।
এরপর সাম্যর পরিচয় জানার চেষ্টা করলে, উত্তেজিত হয়ে মোবাইলে অজ্ঞাত চার-পাঁচজনকে ডেকে নিয়ে আসেন তিনি। পরে তারা পরস্পর যোগসাজশে নজরুলের মুখে ও পিঠে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। পরবর্তীতে তারা চালক নজরুলকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যান।
উল্লেখ্য, এ ঘটনার পাঁচদিন পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।