রূপা ধর্ষণ ও হত্যা মামলার চার্জশিট গ্রহণের তারিখ ২৫ অক্টোবর

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০১৭, ০৩:৪৭ পিএম
চলন্ত বাসে ঢাকার আইডিয়াল ল’ কলেজের শিক্ষার্থী রূপা খাতুনকে ধর্ষণ ও হত্যার চার্জশিট গ্রহণের তারিখ এগিয়ে এনে আগামী ২৫ অক্টোবর দিন ঠিক করে দিয়েছেন আদালত।
বিশেষ সরকারি কৌঁসুলির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আবদুল মান্নান শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) একেএম নাছিমুল আক্তার জানান, গত রোববার পুলিশ বিচারিক হাকিম আদালতে এই মামলার চার্জশিট জমা দেয়। পরদিন সোমবার বিচারিক হাকিম আদালত থেকে বিচারিক আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে চার্জশিট পাঠানো হয়। বিচারিক হাকিম আদালতে মামলাটির ধার্য তারিখ ছিল ১৩ নভেম্বর। চার্জশিট এসে গেছে তাই মামলার তারিখ এগিয়ে আনার জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আবেদন করা হয়।
আবেদনে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী উল্লেখ করেন, রূপা ধর্ষণ ও হত্যা মামলাটি চাঞ্চল্যকর । দ্রুত এর বিচার নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন। তাই চার্জশিট গ্রহণের তারিখ এগিয়ে আনা প্রয়োজন।
বিচারক আবদুল মান্নান শুনানি শেষে বুধবার ১৩ নভেম্বরের স্থলে তারিখ এগিয়ে এনে আগামী ২৫ অক্টোবর চার্জশিট গ্রহণের নতুন তারিখ ধার্য করেন।
গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রূপা খাতুনকে চলন্ত বাসে পরিবহন শ্রমিকরা ধর্ষণ করে। পরে তাকে হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর বন এলাকায় ফেলে রেখে যায়। পুলিশ ওই রাতেই তার মরদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে পরদিন বেওয়ারিশ মরদেহ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে মধুপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
রূপার ভাই ২৮ আগস্ট মধুপুর থানায় এসে লাশের ছবি দেখে রূপাকে শনাক্ত করেন। পরে পুলিশ ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর (৪৫), সুপারভাইজার সফর আলী (৫৫) এবং সহকারী শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীরকে (১৯) গ্রেফতার করে। পুলিশের কাছে তারা রূপাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে।
গত ২৯ আগস্ট বাসের তিন সহকারী শামীম, আকরাম, জাহাঙ্গীর এবং ৩০ আগস্ট চালক হাবিবুর এবং সুপারভাইজার সফর আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তারা সবাই এখন টাঙ্গাইল কারাগারে আছেন।
গত ৩১ আগস্ট রূপার মরদেহ উত্তোলন করে তার ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাকে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার নিজ গ্রাম আসানবাড়িতে নিয়ে দাফন করা হয়।
এর আগে গত ১৫ অক্টোবর তদন্ত শেষে ওই পাঁচ পরিবহন শ্রমিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট আদালতে জমা দেয় পুলিশ।