বাংলাদেশে নাকি এখন ২১ বছরের যুবক মদের লাইসেন্স পাবে। শেখ মুজিব যেখানে ৭২-এর সংবিধানে মদ নিষিদ্ধ করেছিলেন, সেখানে সরকার নতুন করে যুবকদের লাইসেন্স দিতে চাচ্ছে। ইসলাম মদকে হারাম করেছে। আর বর্তমান সরকার হালালের চেষ্টা করছে। যারা শেখ মুজিবের আদর্শ ধারণ করেন, তাদেরও উচিত মদ নিষিদ্ধের দাবিতে রাস্তায় নামা। গতকাল শুক্রবার জুমার পর রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে ইসলামী আন্দোলন আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন দলটির সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। ভারতে হিজাব নিষিদ্ধকরণ, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, মদ পান ও বিক্রয় সংক্রান্ত সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়। ফয়জুল করীম বলেন, চাল ডাল তেলের দাম বাড়ছে। মধ্যবিত্তের লোকজনও লাইনে দাঁড়িয়ে টিসিবির পণ্য কিনছে। সেদিকে সরকারের ভ্রুক্ষেপ নেই। সারাবিশ্বে কেরোসিনের দাম যখন কমে, বাংলাদেশে তখন বাড়ে। এখানে কোনো কিছুর দাম একবার বাড়লে আর কমে না। ফয়জুল করীম বলেন, ভারতের একটি অঙ্গরাজ্যে হিজাব নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মুসলিমদের বিচ্ছিন্ন কোনঠাসা করার চেষ্টা চলছে। মোদি সরকারকে বুঝিয়ে দিতে হবে মুসলিমরা কখনো মাথা নত করে না। কাদিয়ানিদের সাংবিধানিকভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা বাংলাদেশে থাকতে পারবে, তবে মুসলিম জামায়াত হিসেবে নয়। দেশে ইসলামী নেতাদের জেলে আটক রাখা হচ্ছে। দ্রুত তাদের ছেড়ে দেয়ার দাবি জানান তিনি। দলটির মহাসচিব ইউনুস আহমেদ বলেন, হারামকে হালাল করার চেষ্টা চলছে। যারা জেগেও ঘুমিয়ে থাকে, তাদের জাগানো যায় না। দলটির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইমতিয়াজ আলম বলেন, ভারতের মতো ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে কীভাবে হিজাব নিষিদ্ধ হয়? সরকারের উচিত ভারতকে জবাব দেয়া, প্রতিবাদ করা। বাংলাদেশে মদের দোকান কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে ঘুমিয়ে থাকবেন, ২০১৮ আর ২০৪১ এ যাবে না। দলটির ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শায়েখ ফজলে বারী বলেন, বুঝতে ভুল করলে সমস্যা। এক জেলা কক্সবাজারেই আড়াই কোটি ইয়াবা ধরা পড়ে। এমন অবস্থায় কীভাবে ২১ বছরের যুবককে মাদকের লাইসেন্স দেয় সরকার? বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট থেকে কাকরাইল মোড় পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করেন দলটির নেতাকর্মীরা।