শেরপুরে স্ত্রীর লাশ হাসপাতালে ফেলে রেখে পালালেন স্বামী

খোরশেদ আলম, শেরপুর থেকে
প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৭ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
শেরপুরে শান্তা (২৫) নামে এক গৃহবধূর লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেছেন তার স্বামী নওশাদ আলম ওরফে মুরাদ। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শান্তা শান্তা নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলায় জুয়েল মিয়ার মেয়ে। তার স্বামী নওশাদ শেরপুরে এসিআই কোম্পানির মেডিকেল প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানান, শুক্রবার বিকেলে গৃহবধূ শান্তাকে তার স্বামী মুরাদ একটি রিকশা যোগে তার শহরের গরুহাটির ভাড়াবাসা থেকে শেরপুর সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে আনেন। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ সময় স্বামী মুরাদ অবস্থা বেগতিক দেখে কৌশলে পালিয়ে যান।
পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
আরো পড়ুন: নাফ নদী থেকে ১ বাংলাদেশীর লাশ উদ্ধার
জানা গেছে, নিহত শান্তার গত পাঁচ মাস পূর্বে নওশাদের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) হুমায়ুন আহমেদ নুর জানান, নিহত গৃহবধূর গলায় ফাঁস দেয়ার মতো আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ব্যাপারে শান্তার পিতা জুয়েল মিয়া বাদি হয়ে শেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জুবায়দুল আলম বলেন, এ ব্যাপারে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে শান্তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়ে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। অভিযোগ পেলে এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।