প্রেমিক-প্রেমিকার বিয়ে দিলেন ইউএনও ও ওসি

খোরশেদ আলম, শেরপুর থেকে
প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৯ পিএম

প্রতীকী ছবি
অবশেষে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল আমীনের হস্তক্ষেপে বিয়ে হয়েছে প্রেমিক-প্রেমিকার। সোমবার (৪ নভেম্বর) উপজেলার মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের হাসলিগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, হাসলিগাঁও গ্রামের মৃত আমিরুল ইসলামের ছেলে বোরহান মিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে প্রতিবেশি হাতিবান্ধা ইউনিয়নের নয়খা গ্রামের জহুরুল ইসলামের মেয়ে জুই মনির সঙ্গে।
গত দেড় বছর ধরে তাদের মধ্যে চলে আসছিল প্রেমের সম্পর্ক। বোরহান ও জুই মনি তাদের প্রেমের সম্পর্ক বাস্তবে রুপ দিতে বোরহান মিয়া গত ১ নভেম্বর জুইকে তার বাবার বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে। কিন্তু এ ঘটনায় বাঁধ সাধে তাদের অভিভাবকরা। বোরহান মিয়ার পরিবার এ বিয়েতে রাজি না। বোরহান মিয়াকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেন তার পরিবারের লোকজন।
তার পরিবারের লোকজন রাজি না থাকলেও বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত বোরহান মিয়ার বাড়িতেই অবস্থান করতে থাকে জুই।
আরো পড়ুন: দেড় মাস বন্ধ থাকার পর আজ খুলছে সাজেক ভ্যালি
এ নিয়ে এলাকায় চলছিল নানা জল্পনা কল্পনা। স্থানীয় একটি কুচক্রী মহল বিয়ে ভাঙ্গার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল আমিন, এসআই মহর আলীর হস্তক্ষেপে মঙ্গলবার রাতে প্রেমিক-প্রেমিকার উভয় পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের অনুষ্ঠানে হাতিবান্ধা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুজ্জামান, মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাবিবুল্লাহ, সমাজ সেবক আক্রাম হোসেনসহ এলাকার অর্ধশতাধিক লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
এ বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত লোকজন বিবাহ বন্ধনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল আমিনের আন্তরিক সহযোগিতার কারনে ওই দুই কর্মকর্তার আন্তরিক ও মানবিক কর্মকর্তা হিসেবে প্রশংসা করেছেন।
ইউএনও আশারাফুল আলম রাসেল বলেন, এ ধরনের সামাজিক কাজে অংশগ্রহন করতে পারায় নিজেকে ধন্য মনে করছি।