নেতানিয়াহুর ওপর চটেছে সৌদি আরব

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০৯ পিএম

চরমপন্থি ধারণার প্রচারকারীরাই ইসরায়েলকে শান্তি প্রতিষ্ঠা থেকে বিরত রেখেছে। ছবি : সংগৃহীত
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ফিলিস্তিনি জনগণকে তাদের নিজ ভূমি থেকে বাস্তুচ্যুত করার পরিকল্পনাকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছে সৌদি আরব।
এ নিয়ে কাণ্ডজ্ঞানহীন মন্তব্যের কারণে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর ওপর দারুণ চটেছেন সৌদি প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।
সম্প্রতি নেতানিয়াহু বলেছেন, সৌদি আরবের উচিত তাদের নিজ ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠন করা, কারণ দেশটিতে প্রচুর খালি জায়গা রয়েছে।
এর প্রতিবাদে রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা এ ধরনের মন্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করছে, যা মূলত গাজার ফিলিস্তিনি ভাইদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর চলমান অপরাধ ও জাতিগত নিধনযজ্ঞ থেকে দৃষ্টি সরানোর চেষ্টা মাত্র।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, সৌদি আরব ভ্রাতৃপ্রতিম দেশগুলোর পক্ষ থেকে ইসরায়েলি নেতার এই মন্তব্যের নিন্দা জানায় এবং তা সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করছে।
আরো পড়ুন : ‘মধ্যপ্রাচ্যের হাসির পাত্র’ হয়ে উঠেছে ইসরায়েল : বেন-গভির
সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জোর দিয়ে বলেছে, এই চরমপন্থি, দখলদার মানসিকতা ফিলিস্তিনি ভূমির প্রকৃত তাৎপর্য এবং ফিলিস্তিনি জনগণের ঐতিহাসিক, আবেগপূর্ণ ও আইনি অধিকারকে বোঝে না।
তারা মনে করে, ফিলিস্তিনিরা বেঁচে থাকার অধিকারই রাখে না। তাই গাজা উপত্যকাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে, ১ লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষকে হহাহত করেছে, যার অধিকাংশই শিশু ও নারী। এতে তাদের বিন্দুমাত্র মানবিক অনুভূতি বা নৈতিক দায়বদ্ধতা প্রকাশ পায়নি।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ফিলিস্তিনিরা তাদের নিজ ভূমির প্রকৃত অধিকারী, তারা অনুপ্রবেশকারী বা অভিবাসী নয়, যাদের দখলদার ইসরায়েল ইচ্ছেমতো বিতাড়িত করতে পারে।
সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরো উল্লেখ করেছে, এই চরমপন্থি ধারণার প্রচারকারীরাই ইসরায়েলকে শান্তি প্রতিষ্ঠা থেকে বিরত রেখেছে। তারা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান প্রত্যাখ্যান করেছে, আরব দেশগুলোর গৃহীত শান্তি উদ্যোগগুলো উপেক্ষা করেছে এবং গত ৭৫ বছর ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর ধারাবাহিকভাবে অবিচার চালিয়ে যাচ্ছে।
সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার চিরস্থায়ী এবং কেউ তা কেড়ে নিতে পারবে না- যত দীর্ঘ সময়ই লাগুক না কেন।
বিবৃতির শেষে সৌদি আরব বলেছে, টেকসই শান্তি একমাত্র সম্ভব যদি যুক্তির পথে ফিরে আসা হয় এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতিকে মেনে নেয়া হয়, যা কেবলমাত্র দুই-রাষ্ট্র সমাধানের মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব।