দ্বিতীয় দফায় মুক্তি দিতে ৪ ইসরায়েলি বন্দির নাম জানালো হামাস

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩০ এএম

শনিবার মুক্তি পেতে যাওয়া চার ইসরায়েলি নারী সেনা। ছবি : সংগৃহীত
যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তির আওতায় দ্বিতীয় দফায় মুক্তি দেয়ার জন্য আরো চার ইসরায়েলি বন্দির নাম ঘোষণা করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সংগঠনটির পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
৪৭৭ দিন বন্দী থাকার পর গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় তারা মুক্তি পেতে যাচ্ছেন। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) তাদের মুক্তি দেয়া হবে।
শুক্রবার রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় টাইমস অব ইসরায়েল।
মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে চার জিম্মির নামের তালিকা পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়।
আরো পড়ুন : গাজায় ৩ ইসরায়েলি সহযোগীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, দ্বিতীয় দফায় হামাস যে চারজন নারী বন্দিকে মুক্তি দেবে তারা সবাই ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সদস্য। তারা হলেন, যথাক্রমে করিনা আরিভ (২০), ড্যানিয়েলা গিলবোয়া (২০), নামা লেভি (২০) ও লিরি আলবাগ (১৯)। ইসরাইলে আটক ১৮০ জন ফিলিস্তিনি বন্দির বিনিময়ে তাদের মুক্তি দেয়া হবে।
টাইমস অব ইসরায়েল বলছে, আগামীকাল মুক্তি দিতে যে নারী জিম্মিদের নাম হামাস প্রকাশ করেছে তাতে যুদ্ধবিরতি চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন হয়েছে।
চুক্তির অধীনে, প্রথমে মহিলা বেসামরিক নাগরিক, তারপর মহিলা সৈন্য, তারপরে বয়স্কদের এবং তারপরে যারা অত্যন্ত অসুস্থ বলে মনে করা হবে তাদের মুক্তি দেয়ার কথা। হামাস এটি লঙ্ঘন করেছে। বেসামরিক নারীদের মুক্তি না দিয়ে নারী সেনাদের মুক্তি দিচ্ছে। অথচ চুক্তি অনুযায়ী বেসামরিক নাগরিক আরবেল ইহুদ (২৯), শিরি সিলবারম্যান বিবাস (৩৩) এর মুক্তি পাওয়ার কথা। ইসরায়েলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছেন।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বলেছে, ইসরায়েল এই তালিকার বিষয়ে পরে মন্তব্য করবে। যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপে যে ৩৩ জনকে মুক্তি দেয়ার কথা তাদের মধ্যে সাতজন নারী জিম্মি রয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতারের কয়েক মাসের মধ্যস্থতায় টানা ১৫ মাসের সংঘাতের পর গত সপ্তাহে (১৫ জানুয়ারি) গাজায় দ্বিতীয়বারের মতো যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে একমত হয় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
পাঁচদিন পর স্থানীয় সময় রবিবার (১৯ জানুয়ারি) বেলা সোয়া ১১টায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম দফায় ওইদিন তিন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেয় হামাস। বিপরীতে ৯০ ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি দেয় ইসরায়েল।
যুদ্ধবিরতি শুরুর পর হামাস তিন বন্দিকে গাজায় রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করে। এরপর তাদের ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। মুক্তিপ্রাপ্তরা হলেন, ৩১ বছর বয়সি ডরন স্টেইনব্রেচার, ২৮ বছর বয়সি ব্রিটিশ ইসরায়েলি নাগরিক এমিলি ডামারি ও ২৪ বছর বয়সি রমি গোনেন।
বিপরীতে ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ৯০ জন ফিলিস্তিনির মধ্যে ৬৯ জন নারী ও ২১ জন কিশোর। হামাস জানায়, তারা পশ্চিম তীর ও জেরুসালেমের বাসিন্দা। তাদের সম্প্রতি আটক করা হয়েছিল এবং তাদের বিচার বা শাস্তি দেয়া হয়নি।