গাজায় যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানালো সৌদি

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:৩৬ পিএম

যুদ্ধবিরতি চুক্তির ঘোষণার পর উল্লাস করে গাজাবাসী। ছবি : সংগৃহীত
১৫ মাস ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসন থেকে মুক্তি পেলেন অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বাসিন্দারা। ভয়াবহ নৃশংসতার পর গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির চুক্তিতে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও দখলদার ইসরায়েল সম্মত হয়েছে। আগামী রবিবার থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। খবর আরব নিউজের।
মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশ সৌদি আরব গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে। যুদ্ধবিরতিতে কাতার, মিশর এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারীদের প্রচেষ্টার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে দেশটি।
যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চলার প্রয়োজনীয়তা, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ, অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড ও আরব ভূমি থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের ওপর জোর দিয়েছে সৌদি আরব।
সৌদি আরব বলছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি সংঘাতের অন্তর্নিহিত কারণগুলো মোকাবেলা করে ফিলিস্তিনি জনগণকে তাদের অধিকার সুরক্ষিত করতে কাজ করবে।
সৌদি আরব আশা প্রকাশ করেছে, ১৯৬৭ সালের সীমানার ভিত্তিতে স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হবে, যার রাজধানী হবে পূর্ব জেরুজালেম। যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি ইসরায়েলিদের নৃশংস যুদ্ধের স্থায়ী অবসান ঘটাবে।
আরো পড়ুন : গাজায় যুদ্ধবিরতির কৃতিত্ব দাবি করলেন বাইডেন-ট্রাম্প দুজনই
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এতে ১ হাজার ২১০ জন নিহত হন। ইসরায়েল থেকে জিম্মি করা হয় ২৪১ জনকে। তাদের মধ্যে ৯৪ জন এখনো গাজায় বন্দী রয়েছেন। হামাসের হামলার পর থেকেই গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৪৬ হাজার সাতশ’র বেশি জন।
সংঘাতের এই ১৫ মাসের মধ্যে শুরুর দিকে একবার মাত্র সাত দিনের যুদ্ধবিরতি হয়েছিল। এরপর থেকে কয়েক দফা যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে আলোচনা হলেও আলোর মুখ দেখেনি।
এরই মধ্যে সম্প্রতি যুদ্ধবিরতি চুক্তির চাপ বাড়তে থাকে। এ লক্ষ্যে মধ্যস্থতাকারী দেশ হিসেবে জোর তৎপরতা শুরু করে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র। হামাস ও ইসরায়েলের সঙ্গে শুরু করে আলোচনা।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল–থানি তার কার্যালয়ে আলাদাভাবে হামাস ও ইসরায়েলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ করেছেন। এরপর বুধবার রযুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়ে একমত হন দুই পক্ষ।