ফিফা বিশ্বকাপের জন্য সৌদি আরব নিজেদের ৭২ বছরের আইন বদলাবে না

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:০৮ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
২০৩৪ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে সৌদি আরবের নাম ঘোষণা করেছে ফিফা। সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে ২৫তম বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ হিসেবে সৌদি আরবের নাম ঘোষণা করা হয়। এই আসরে অংশ নেবে ৪৮টি দল, এবং এটি অনুষ্ঠিত হবে সৌদি আরবের ৫টি শহরের ১৫টি স্টেডিয়ামে।
মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম প্রধান দেশগুলোর মধ্যে সৌদি আরব অন্যতম, তাই সেখানে ইসলামি আইন ও নীতি অনুসরণ করা হয়। ২০২২ বিশ্বকাপ কাতারে অনুষ্ঠিত হলেও, সেখানে মদপান সম্পর্কিত আইন শিথিল ছিল। কাতারের কর্তৃপক্ষ বিশ্বকাপের আগে ঘোষণা করেছিল যে, কিছু নির্বাচিত স্থানে মদ বিক্রি করা হবে এবং বিদেশি পর্যটকরা সেগুলি কিনতে পারবেন। তবে, সৌদি আরবে এই ধরনের শিথিলতা দেখা যাবে না, এমনটাই রিপোর্ট করেছে দ্য গার্ডিয়ান।
সৌদি আরবে ১৯৫২ সাল থেকে মদ নিষিদ্ধ। বিদেশিরাও সেখানে মদ কিনতে বা খেতে পারেন না। মদপানের বিরুদ্ধে দেশটিতে কঠোর আইন রয়েছে। সৌদি আরবে কেউ যদি মদ পান করে ধরা পড়েন তাহলে তাকে কয়েকশ বেত্রাঘাত করা, দেশটি থেকে বের করে দেয়া, কারাদণ্ড দেওয়া অথবা আর্থিক জরিমানা করা হয়।
যদিও বর্তমানে মদ পান নিয়ে কিছুটা শিথিলতার পথে হাঁটছে তেল সমৃদ্ধ দেশটি। পর্যটন ও অন্যান্য ব্যবসা খাতকে সমৃদ্ধ করতে মদের দোকান খোলার মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। ইসলামে মদসহ যে কোনো ধরনের নেশাদ্রব্য সম্পূর্ণভাবে হারাম বা নিষিদ্ধ। তবে নতুন দোকানটি রিয়াদের কূটনৈতিক পাড়ায়, যেখানে বিভিন্ন দেশের দূতাবাস রয়েছে। ওই এলাকাটিতেই দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা থাকেন। তবে দোকানটি যেতে পারবেন শুধু অমুসলিমরাই।
কিন্তু আসন্ন ২০৩৪ বিশ্বকাপ উপলক্ষে আগত সমর্থকদের জন্য প্রকাশ্য মদ্যপানের তেমন ব্যবস্থা থাকবে না বলেই খবর। গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দশ বছর পর অনুষ্ঠিতব্য সৌদি বিশ্বকাপে স্টেডিয়ামে বসে মদ্যপান করতে পারবেন না।
যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। তবে সংস্থাটির দায়িত্বশীল সূত্র গার্ডিয়ানকে বলেছে, ম্যাচগুলোতে মদ বিক্রি হওয়া নিয়ে কোনো প্রশ্নের সুযোগ নেই। অন্যান্য অনেক মুসলিম দেশের বিপরীতে সৌদি আরবে বিলাসবহুল হোটেলেও অ্যালকোহল বিক্রি নিষিদ্ধ।
এক সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, ‘সৌদি আরব আবগারি আইন শিথিল করবে না। ফিফাও তাদের কোনও রকম আবেদন করবে না বলেই জানা গিয়েছে। ম্যাচের মাঝে বিয়ার বিক্রি করা হবে না বলেই জানা গিয়েছে।’ অবশ্য সৌদি বিশ্বকাপের বাকি এখনো ১০ বছর। তখন নিয়ম বদলাবে কি না তা বলা মুশকিল। কাতারে যেমন বিশ্বকাপ শুরুর দু’দিন আগে আবগারি আইন শিথিল করা হয়েছিল।