এবার দামেস্কের পথে ইসরায়েলি ট্যাংক

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১১ এএম

ইসরায়েলি ট্যাংক
সিরিয়ার আসাদ সরকারের পর গোটা গোলান মালভূমি কব্জা করে নেয় ইহুদিবাদী ইসরায়েল। এবার ইসরায়েলি ট্যাঙ্কগুলো সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় কুনেইত্রা প্রদেশ অতিক্রম করে দামেস্ক প্রদেশের কাছাকাছি স্থানে পৌঁছে গেছে।
সিরিয়ার গণমাধ্যম আল-আলমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকালে ইহুদিবাদী সরকারের ট্যাঙ্কগুলো সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় কুনেইত্রা প্রদেশ অতিক্রম করে দামেস্কের উপকণ্ঠে এসে পৌঁছেছে।
স্থানীয় সূত্র লেবাননের গণমাধ্যম আল-মায়াদিনকে জানিয়েছে, ইসরায়েলি ট্যাঙ্কগুলো দামেস্কের দক্ষিণ উপকণ্ঠে কাতনা শহর থেকে ৩ কিলোমিটারেরও কম দূরে রয়েছে যা দামেস্ক থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে।
অগ্রগতির একই সময়ে ইসরায়েলি যোদ্ধারা দামেস্ক, হোমস, হামা এবং রাক্কা প্রদেশের চারপাশে লক্ষ্যবস্তুতে বোমাবর্ষণ করে।
এর আগে, ইহুদিবাদী টিভি চ্যানেল-১২ সিরিয়ার সেনাবাহিনীর সব সরঞ্জাম এবং সুযোগ-সুবিধা ধ্বংস করার ইসরায়েলি সরকারের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল।
বিমান বাহিনী সিরীয় সেনাবাহিনীর অবশিষ্ট সরঞ্জামগুলোকে ব্যাপকভাবে ধ্বংস করছে এবং মোট কথা সিরিয়া জুড়ে তারা ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে।
সংবাদ মাধ্যমটি আরো মন্তব্য করেছিল যে সিরীয় সেনাবাহিনীর সর্বশক্তি এবং সরঞ্জাম ধ্বংস করার এখনই উপযুক্ত সময় যাতে এটি অন্যের হাতে না পড়ে। ভবিষ্যতে সরকার যার হাতেই থাকুক না কেন।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান সোমবার সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছেন যে সিরিয়ার সরকারকে উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা ছিল।
সুলিভান এ প্রসঙ্গে বলেছেন, আমরা আসাদের সমর্থকদের দুর্বল করার জন্য একটি বিস্তৃত আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার অংশ ছিলাম। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারও ঘোষণা করেছেন যে সিরিয়ার সরকার উৎখাতের পর যুক্তরাষ্ট্র সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের উপায় খুঁজছে।
জাতিসংঘে ইরানের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি আমির সাইদ ইরভানি সোমবার সিরিয়ায় ইরানের কূটনৈতিক ও কনস্যুলার স্থাপনায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলার পর নিরাপত্তা পরিষদের কাছে চিঠি লিখে এ ঘটনার নিন্দা জানানোর অনুরোধ করেছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে যে এই সংস্থার মহাসচিব স্পষ্টভাবে এই ঘটনার নিন্দা এবং কূটনৈতিক কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং এই ধরনের হামলার পুনরাবৃত্তি রোধ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকায়ি সোমবার রাতে সিরিয়ার অবকাঠামোর উপর ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর বারবার আগ্রাসন এবং সিরিয়ার গোলানের অন্য অংশ দখলের তীব্র নিন্দা করেছেন।
এদিকে, আরব পার্লামেন্টের স্পিকার মোহাম্মদ ইলিমাহি সোমবার এক বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সিরিয়ার নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা অর্জনে সাহায্য করতে বলেছেন। এই বিবৃতিতে ইলিমাহি সিরিয়ার ভূখণ্ডে ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর দখলদারিত্ব বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।