সাংবাদিকদের জন্য বিপজ্জনক দেশের শীর্ষ তিনে বাংলাদেশ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২৪ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
বিশ্বের সাংবাদিকদের জন্য বিপজ্জনক দেশের তালিকার শীর্ষ তিনে নাম রয়েছে বাংলাদেশের। সবচেয়ে বিপজ্জনক অবস্থানের তালিকায় ফিলিস্তিনের গাজার পরই আছে পাকিস্তানের নাম। তালিকার পরের নাম দুইটি হলো বাংলাদেশ ও মেক্সিকো।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিশ্বব্যাপী সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের (আরএসএফ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে ২০২৪ সালে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় প্রাণ হারিয়েছেন ৫৪ সাংবাদিক। এদের মধ্যে পাঁচজনই বাংলাদেশে নিহত হয়েছেন। সব মিলিয়ে সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে বিপদজনক দেশের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
আরএসএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে প্রাণ হারিয়েছেন ৫৪ সাংবাদিক। আর সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে বিপদজনক অবস্থানের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ফিলিস্তিন, যেখানে নিহত হয়েছেন ১৬ সাংবাদিক। এরপরই আছে পাকিস্তানের নাম। সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন সাত সাংবাদিক। তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ, যেখানে পাঁচজন করে সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। চতুর্থ স্থানে থাকা মেক্সিকোতে সাংবাদিক নিহতের সংখ্যা ৫।
২০২৩ সালে একই প্রতিবেদনে (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) উল্লেখিত নিহতের সংখ্যা ছিল ৪৫।
আরো পড়ুন : চলতি বছরে হয়রানির শিকার ৫০০ সাংবাদিক
৫৫ জন সাংবাদিক এ মুহূর্তে জিম্মি অবস্থায় আছেন। জিম্মিদের মধ্যে ২৫ জনই ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হাতে আটক রয়েছেন। পাশাপাশি, ২০২৪ সালে ৯৫ জন সাংবাদিক নিখোঁজ হয়েছেন। নতুন করে এই তালিকায় এ বছর চার জন অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
আরএসএফের এই বার্ষিক প্রতিবেদনে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত হালনাগাদ তথ্য যুক্ত করা হয়। এতে মন্তব্য করা হয়েছে, ফিলিস্তিন এখন সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে বিপদজনক দেশ। গত পাঁচ বছরে অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে এ বছর ফিলিস্তিনে নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা বেশি। নিহতদের এক তৃতীয়াংশই ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এ বছর ১৮ জন সাংবাদিকের প্রাণহানির সঙ্গে ইসরায়েলের সরাসরি সংযোগ রয়েছে। তাদের মধ্যে ১৬ জন গাজায় ও দুই জন লেবাননে নিহত হন।
রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস জানায়, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজার সংঘাত শুরুর পর ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হাতে ১৪৫ জনেরও বেশি সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩৫ জন সংবাদ সংগ্রহের সময় নিহত হন। এই হত্যাযজ্ঞকে ‘নজিরবিহীন রক্তস্নান’ হিসেবে প্রতিবেদনে অভিহিত করা হয়।
এদিকে, জ্ঞাতসারে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালানোর বিষয়টি অস্বীকার করে ইসরায়েল। তবে তারা স্বীকার করেছে, সামরিক লক্ষ্যবস্তুর ওপর বিমানহামলা চালানোর সময় কয়েকজন সাংবাদিক নিহত হয়ে থাকতে পারে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ইসরায়েল সরকারের মুখপাত্র ডেভিড মারসার সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্যের সত্যতা অস্বীকার করেন।