মুগ্ধ-করতালিতে পর্দা নামল গণজাগরণের সাংস্কৃতিক উৎসবের

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:০১ পিএম

সোমবার রাজধানীতে শিল্পকলায় পর্দা নেমেছে গণজাগেরণের সাংস্কৃতিক উৎসবের।ছবি: ভোরেরর কাগজ



বিজয়ের মাসে দেশব্যাপী শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চার আলো ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে বাংলার জয়গানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত ৯ দিনব্যাপী গণজাগরণের সাংস্কৃতিক উৎসব-২০২৩। যে বর্ণিল উৎসবে ধ্বনিত হলো গ্রামীণ লোক ঐতিহ্য থেকে রবীন্দ্র-নজরুল, আধুনিক থেকে দেশাত্ববোধক, উচ্চাঙ্গ থেকে কত্থক, মনিপুরি, ভ্রাম্যমাণ জাদু প্রদর্শনী থেকে আবৃত্তির শাণিত শব্দমালা।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে দর্শকদের মুগ্ধতার করতালির মধ্য দিয়ে উৎসবের পর্দা নামল।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নৃত্যদলের সমবেত নৃত্য ‘মানুষ হ’ পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় সমাপনী আয়োজন।
এরপর আবৃত্তি পরিবেশন করেন আহসানুল্লাহ তমাল। একক সংগীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট শিল্পী রফিকুল আলম, সুজিত মোস্তফা, অনিমা রায়, জি এম জাকির এবং পুজা দাস। দলীয় সংগীত পরিবেশন করে সুরবিহার।
নৃত্য শিল্পী সামিনা হোসেন প্রেমার পরিচালনায় ‘আজি রক্ত নিশি ভোরে’ ও ‘আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে’ শিরোনামে সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে ভাবনা নৃত্যদল, নৃত্য পরিচালক প্রান্তিক দেবের পরিচালনায় ‘ঐ মহামানব’ শিরোনামে সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে দেব ডান্স একাডেমি, আবু নাঈমের পরিচালনায় ‘সব কটা জানালা’ ও ‘বাগিচায় বুলবুলি’ শিরোনামে সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে নাঈম খান ডান্স কোম্পানী এবং ‘জয় বাংলা জয় বাংলা বইলা রে’ শিরোনামে সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নৃত্য দল।
[caption id="attachment_483556" align="aligncenter" width="1600"]
ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে লিয়াকত আলী লাকী বলেন, আমরা সংস্কৃতি নিয়ে সবার ঘরে ঘরে পৌছে যেতে চাই, এই বার্তাই আমাদের গণজাগরণের বার্তা’ এবং শিল্প সংস্কৃতিঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গড়ার অভিলক্ষে ‘গণজাগরণের শিল্প আন্দোলন’ শীর্ষক কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। শিল্পের সকল শাখার সমন্বয়ে দেশব্যাপী বহুমুখী সাংস্কৃতিক কর্মযজ্ঞের বাস্তবায়িত রূপ ‘গণজাগরণের সাংস্কৃতিক উৎসব’ও।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ শহীদদের দেশ, লালন, নজরুল রবীন্দ্রনাথের দেশ। আমরা সে কারণেই স্বপ্ন সংগ্রাম করছি, সাংস্কৃতিক আন্দোলন করছি তার অংশ হিসেবেই আমাদের এই গণজাগরণের সাংস্কৃতিক উৎসব। ৬৪ জেলায় এই উৎসবের আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সর্বত্রে ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
শিল্পকলা একাডেমি জানায়, শিল্পের সকল শাখার সমন্বয়ে দেশব্যাপী বহুমুখী সাংস্কৃতিক কর্মযজ্ঞের বাস্তবায়িত রূপ ‘গণজাগরণের সাংস্কৃতিক উৎসব, যন্ত্র সংগীত উৎসব এবং অ্যাক্রোবেটিক উৎসব’। দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সর্বসাধারণকে সম্পৃক্ত ও অনুপ্রাণিত করতে ডিসেম্বর মাসব্যাপী আয়োজন করা হয়েছে গণজাগরণের সাংস্কৃতিক উৎসব।
সমাপনী সন্ধ্যার উপস্থাপনায় ছিলেন কাজী বুশরা আহমেদ তিথি।


