চট্টগ্রামে ১০ গুণীজনকে শিল্পকলা একাডেমির সম্মাননা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২৩, ০২:৫৬ পিএম

চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির পদকপ্রাপ্ত গুণীজনদের সঙ্গে আয়োজক ও অতিথিরা। ভোরের কাগজ
শিল্প-সংস্কৃতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য চট্টগ্রামের ১০ গুণীজনকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা প্রদান করেছে। বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) বিকেল নগরীর শিল্পকলা একাডেমির অনিরুদ্ধ মুক্তমঞ্চে ২০২১ ও ২০২২ সালের এই সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
অনুষ্ঠানে জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা-২০২১ প্রাপ্ত গুণী ব্যক্তিরা হলেন- নাট্যকলায় প্রদীপ দেওয়ানজী, কণ্ঠ সংগীতে কল্পনা লালা, নৃত্যকলায় কৃষ্ণা বিশ্বাস, চলচ্চিত্রে নাজিমুদ্দিন শ্যামল ও আবৃত্তিতে মিলি চৌধুরী এবং সম্মাননা-২০২২ প্রাপ্ত গুণী ব্যক্তিরা হলেন- লোক সংস্কৃতিতে কল্পতরু ভট্টাচার্য, ফটোগ্রাফিতে দেব প্রসাদ দাস দেবু, চারুকলায় সৌমেন দাশ, কণ্ঠ সংগীতে মো. মোস্তফা কামাল ও নাট্যকলায় সনজীব বড়ুয়া।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) মো. আবু রায়হান দোলন ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাট্যজন সাইফুল আলম বাবু।
অনুষ্ঠানে সম্মাননা প্রাপ্ত গুণী ব্যক্তিরা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে মাট ১০ জন গুণী ব্যক্তির প্রত্যেককে সম্মাননা হিসেবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সনদ, নগদ ২০ হাজার টাকা, উত্তরীয় ও সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর বলেন, প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে সংস্কৃতি কর্মীরা সম্পৃক্ত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক ইচ্ছায় সংস্কৃতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে পৃষ্টপোষকতার পাশাপশি সরকার বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে গুণীজনদেরকেও সম্মাননা জানানোর সংস্কৃতি চালু করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রতি বছর জেলা পর্যায়ে শিল্প ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ‘জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা’ প্রদান একটি অনন্য উদ্যোগ।
তিনি আরো বলেন, গুণীজনদের সম্মাননা জানানো তাদের কাজের মূল্যায়নের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মকেও অনুপ্রেরণা যোগাবে যা চট্টগ্রামের শিল্প-সংস্কৃতির চর্চা ও বিকাশকে আরো বেগবান করবে।
একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার সম্মাননা প্রাপ্ত সকলকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, সকল অপসংস্কৃতিকে বর্জন করার মধ্য দিয়ে আমাদের যে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে, তাকে ধারণ ও লালন করতে হবে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিকসহ প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ডে চট্টগ্রাম এগিয়ে। খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডকে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় চট্টগ্রামের জেলার ১৫ উপজেলার ১৯১টি ইউনিয়নে প্রত্যেকটিতে একটি করে খেলার মাঠের পাশাপাশি বিনোদনের জন্য কালচারাল সেন্টার তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট উপজেলা কর্মকর্তাকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। সবশেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ দলীয় নৃত্য ও সংগীত পরিবেশিত হয়।