তালিকা হাতে বইয়ের খোঁজ

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:৩৬ পিএম
রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ২৬তম দিনে মেলায় ছিলো দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। বিকালের দিকে প্রচুর লোক সমাগম ঘটে, আর বিকালের ভিড়কে ছাপিয়ে যায় সন্ধ্যার ভিড়। তবে, বিকালের দিকে মেলায় যারা এসেছিলেন তাদের বেশিরভাগই ছিলেন দর্শনার্থী। ফাগুনের বিকালের এই সময়টাতে আগতদের বেশিরভাগকেই ঘোরাঘুরি ও সেলফি তোলায় ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে। যে কারণে ভিড় থাকলেও প্রকাশক ও বিক্রয়কর্মীদের মনের কোনে ছিল রাজ্যের হতাশা। কিন্তু, সন্ধ্যার ভিড়ে মেলায় এসেছিলেন প্রকৃত বইপ্রেমিরা।
এ সময়টাতে প্রায় প্রত্যেকের হাতে হাতেই ছিল বই। অনেককে দেখা গেছে বইয়ের তালিকা হাতে নতুন বছরের বই কেনায় ব্যস্ত। প্রকাশকরা যেই ভাবছিলেন মেলায় ছন্দপতন ঘটতে যাচ্ছে, ঠিক সেই সময়টাতে সন্ধ্যা থেকে বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত বইকেনার দৃশ্য প্রকাশকদেরকে নতুন করে আশার আলো দেখানো শুরু করেছে। আজ ও কাল শেষ দিনে মেলায় ব্যাপক লোক সমাগম ঘটবে ও এই দুইদিন প্রকৃত বইপ্রেমিরা মেলায় আসবে এবং এবারের মেলাকে সফলতার দিকে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করছেন বেশিরভাগ প্রকাশক ও বিক্রয়কর্মীরা।
প্রকাশনা সংস্থা টাঙ্গণের স্বত্বাধিকারী অজয় কুমার রায় বলেন, করোনার পর এই প্রথম আমরা ভালো বিক্রি করেছি। অর্থাৎ ২০২০ সালের পর টানা দুই বছর মন্দাভাব ছিলো আমার প্রকাশনায়, তবে এবার সেই ক্ষতি অনেকটা পুষিয়ে উঠতে পারবো বলে আশা করছি। এ সময় তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, ১৬০০ টাকার কাগজের রিম যদি ৩৮০০ টাকা না হতো তাহলে আমাদের প্রকাশনাশিল্প আরো অনেক দূর এগিয়ে যেতো। টাঙ্গণের অজয় কুমার রায়ের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করে জোনাকীর মঞ্জুর হোসেন, মা সেরা’র দেওয়ান মাসুদা সুলতানা ও ইন্তামিন প্রকাশনীর এসএম ইউনুছও বলেন, কাগজের দাম লাগামহীন বৃদ্ধির কারণেই আমরা প্রকাশনাশিল্প নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারছি না।