এসি: কোন ব্র্যান্ডের কিনবেন, কেনার আগে যা জানা জরুরি

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৪, ১১:০৭ এএম

এসি
যারা নতুন এসির কথা ভাবছেন তাদের করতে হচ্ছে নানা চিন্তাভাবনা। এসি কোন ব্র্যান্ডের কিনলে ভাল হবে, কোন এসি কিনলে বিদ্যুতের বিল কম আসবে, কোন ঘরের জন্য কোন আকারের এসি প্রয়োজন- এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খায় ক্রেতার মাথায়। তাই এসি কেনার সময়ে নিচের এই বিষয়গুলো জানা থাকলে, আপনি একটি সঠিক এসি পাবেন ও আপনার জীবনের গুণগত এবং আরামদায়ক বাতাসের অভাব দূর করতে সাহায্য করবেন।
এসি কোন ব্র্যান্ডের কেন উচিৎ: এসি কেনার ক্ষেত্রে সবসময় ভালো ব্র্যান্ড দেখে, যাচাই-বাছাই করে কেনা উচিত। সুনাম আর রিভিউ দেখে কেনার পাশাপাশি বিক্রয়–পরবর্তী সেবা ভালো-এমন ব্র্যান্ডের এসি কিনতে হবে। এছাড়া আপনার বাড়ি কিংবা অফিসের আশপাশে ব্র্যান্ডটির সার্ভিস সেন্টার আছে কি না, সেটাও যাচাই করে নিতে হবে।
বাসার আয়তন ও ওয়াট রিকুয়ারমেন্ট : এসির আকার ঘরের আয়তনের সঙ্গে মিল রেখে কেনা উচিত। যে ঘরে ৫ টনের এসি প্রয়োজন, সেখানে যদি লাগানো হয় ২ টনের এসি, তাহলে যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। ১০০ থেকে ১২০ বর্গফুটের ঘরে হলে ১ টনের এসি যথেষ্ট। ১২০ থেকে ১৫০ বর্গফুট ঘরের জন্য দরকার দেড় টন এসি। এর চেয়ে বেশি আয়তনের ঘরের জন্য ২ টনের এসি কেনা ভালো। আপনি যদি ছোট একটি আয়তনের বাসা থাকেন, তাহলে ছোট ওয়াটের এসি উপযুক্ত হতে পারে।
উইন্ডো নাকি স্প্লিট এসি: স্প্লিট এসির সুবিধা হচ্ছে, কম্প্রেসর ঘরের বাইরে রাখা যায়। আর মেশিনের কোনো শব্দ শোনা যায় না। তবে এ এসির অসুবিধা হচ্ছে, এটি সেট করার জন্য ঘরের দেয়াল ভাঙতে হয়। অন্যদিকে উইন্ডো এসি ব্যবহার করতে চাইলে ঘরের একটি জানালা বন্ধ করে দিতে হবে। ফলে ঘরে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের অভাব দেখা দেবে।
ইনভার্টার নাকি নন-ইনভার্টার: এসি কেনার সময় ইনভার্টারসহ এসি কেনার চেষ্টা করা উচিত। এতে বিদ্যুতের খরচ কম হবে। আবার ইনভার্টার থাকলে ঘর প্রয়োজনমতো ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায় কম্প্রেসর। এ এসির কম্প্রেসর কম ক্যাপাসিটিতে চলতে পারে। তাই সাধারণ এসির চেয়ে এ এসিতে বিদ্যুৎ খরচ হয় কম। তাই ইনভার্টার এসি গ্রাহকের জন্য ভালো।
ফিল্টার যেন ভালো হয়: ভালো ফিল্টার আছে, এমন এসি কিনতে হবে। এসির এয়ার ফিল্টার বাতাস থেকে ময়লা ও জীবাণু দূর করতে সাহায্য করে। এমনকি এটি ধোঁয়া ও গন্ধ দূর করে। উন্নত মানের ফিল্টার বাতাস পরিষ্কার করার পাশাপাশি ধুলা-ময়লা যেন কয়েলে না পৌঁছায়, সেটাও নিশ্চিত করে। এতে এসির কর্মক্ষমতা বাড়ে। তাই কেনার সময় ফিল্টার দেখতে হবে।
বিদ্যুৎ খরচের রেটিং: যারা নতুন এসি কিনবেন, তাদের উচিত ব্যুরো অব এনার্জি এফিসিয়েন্সির স্টার রেটিং দেখে কেনা। এসির গায়ে স্টিকারে এ রেটিং দেয়া থাকে। স্টারের সংখ্যা যত বেশি হবে, এসির কার্যক্ষমতা তত বেশি হবে। ১ স্টার রেটিং মানে এসি ১ বছরে ব্যবহার করে ৮৪৩ ইউনিট। ৫ স্টার মানে এসিটি ব্যবহার করে ৫৫৪ ইউনিট। স্টার বেশি থাকা মানে এসির বিদ্যুৎ বিল কম আসবে।
পরিবেশ বন্ধুত্ব: পরিবেশে সম্প্রদায়ের জন্য সহনশীল এসি প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম নির্বাচন করা উচিত।

এসি ব্যবহারের আগে জেনে নিন
- দীর্ঘসময় এসি চালানো উচিত নয়। চালাতে হলে মাঝে কিছুক্ষণের বিরতি দিতে হবে।
- এসির আউটডোর ইউনিট এমন স্থানে রাখতে হবে যেন সেটা গাছ দিয়ে ঢাকা না থাকে। খোলামেলা ও বাতাস চলাচল করে এমন স্থানে রাখবেন এসির বাইরের অংশ।
- এসি বেশি ব্যবহৃত হলে ৬ মাসে একবার এবং কম ব্যবহৃত হলে বছরে একবার বিশেষজ্ঞ হাতে সার্ভিসিং করাতে হবে।
আরো পড়ুন: