সাবেক মন্ত্রী মোকতাদিরকে নিয়ে আদালতে পাল্টাপাল্টি দাবি আইনজীবীদের

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪০ পিএম

সাবেক মন্ত্রী মোকতাদির। ছবি: সংগৃহীত
৫ দিনের রিমান্ডে সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। শুক্রবার(১ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্টেট মেহরা মাহবুবের আদালত এ রিমান্ড আদেশ দেন।বিএনপিকর্মী মকবুলকে হত্যার অভিযোগে পল্টন থানায় মামলায় আদালত এই রায় দিয়েছেন।
এদিন রিমান্ড শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী আবু সুফিয়ান বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন র আ ম উবায়দুল মোকতাদির। গত ১৩ জুলাই তিনি আন্দোলনের পক্ষে বক্তব্য দেন। তার সেই বক্তব্য ফেসবুকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। কোটা আন্দোলনের প্রথম শহিদ আবু সাঈদও সেই বক্তব্য শেয়ার করেছিলেন। তিনি (উবায়দুল মোকতাদির) আজকের পরিবর্তিত বাংলাদেশের পক্ষে ছিলেন।
শুনানিতে উবায়দুল মোকতাদিরের এই আইনজীবী আরো দাবি করেন, উবায়দুল মোকতাদির ফ্যাসিস্টের কোনো সহযোগিতা করেননি। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা, দেশের জন্য লড়াই করেছেন। দেশের উন্নয়নের জন্য তিনি অনেক কাজ করেছেন। কোনো অবৈধ কাজে জড়িত ছিলেন না। এ হত্যার সঙ্গে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। ২০২১ সালের মোকতাদিরের হার্টে ৫০ শতাংশ ব্লক ধরা পড়েছে, তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। মানবিক দিক বিবেচনা করে আসামির রিমান্ড বাতিল করে জামিনের প্রার্থনা করছি।’
জামিনের বিরোধিতা করে শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, উবায়দুল মোকতাদির ছাত্রজীবনে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এরপর সচিব হয়েছেন। ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে ক্ষমতায় থাকতে তিনি সহযোগিতা করেছেন। তার প্রতি খুশি হয়ে শেখ হাসিনা তাকে মন্ত্রিত্ব উপহার দিয়েছেন। তিনি মন্ত্রী থাকাকালীন রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। অবৈধভাবে প্লট বরাদ্দ দিয়ে তিনি হাজার কোটি আত্মসাৎ করে তা পাচার করেছেন। মানুষ হত্যা, খুন, ঘুম করতে সহযোগিতা করেছেন। রাষ্ট্রের কর্মচারীর কাজ জনগণকে সহযোগিতা করা; সেটা তিনি করেননি। শেখ হাসিনাকে খুশি করার জন্য তার (শেখ হাসিনা) নামে একটি প্রজেক্ট পর্যন্ত তৈরি করেছেন।
পিপি আরো বলেন, উবায়দুল মোকতাদির আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন না। তিনি সবসময় ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে সহযোগিতা করেছেন। আসামির সর্বোচ্চ ১০ দিনের রিমান্ড চাচ্ছি।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আসামি উবায়দুল মোকতাদিরের ৫ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। এদিকে উবায়দুল মোকতাদিরের রিমান্ড শুনানি চলাকালে আদালতে হট্টগোলের ঘটনাও ঘটে। একপর্যায়ে বিচারক আদালতের সম্মান বজায় রাখার নির্দেশ দেন।