জুলাই-আগস্ট গণহত্যা
ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৫ পিএম

শেখ হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাইবে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম। ছবি : সংগৃহীত
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় জুলাই ও আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার অভিযোগের বিচার কার্যক্রম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে বিচারকাজ শুরু হয়।
প্রথমদিনের বিচারকার্যে শেখ হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাইবে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম।
শেখ হাসিনা ছাড়া যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাওয়া হতে পারে তারা হলেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী এ আরাফাত এবং পুলিশের পলাতক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ট্রাইব্যুনালে ইতোমধ্যে ৪৫টি এবং তদন্ত সংস্থায় ১৬টি অভিযোগ জমা পড়েছে, ফলে মোট ৬১টি অভিযোগ উঠেছে।
এসব অভিযোগের বেশিরভাগই আওয়ামী লীগ নেতা, সাবেক মন্ত্রী, এমপি এবং পুলিশের সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ রয়েছে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে, যিনি ইতোমধ্যে দেশত্যাগ করেছেন। এছাড়া, অন্য অভিযুক্তদের একটি বড় অংশও দেশত্যাগ করেছে বলে বিভিন্ন সূত্রে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
এর আগে গত ১৩ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম শেখ হাসিনাসহ পলাতক অন্যদের দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেয়ার কথা জানিয়েছিলেন। সেদিন গণমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছিলেন, বিচারক নিয়োগ হলে চলতি সপ্তাহেই জুলাই গণহত্যার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন হবে।
গত মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) নিয়োগের পর প্রথম কর্মদিবসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আসেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার। এছাড়া ট্রাইব্যুনালের দুই সদস্য বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মহিতুল হক এনাম চৌধুরী এদিন ট্রাইব্যুনালে আসেন। এ সময় ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার ও অন্য কর্মকর্তারা তাদের অভ্যর্থনা জানান।
আরো পড়ুন : শেখ হাসিনাসহ যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চায় প্রসিকিউশন