ইন্টারনেট বন্ধ: শেখ হাসিনা, হাছান, পলকসহ ১৫ জনের নামে মামলা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৩ পিএম

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ইন্টারনেট বন্ধ রাখায় ১০ কোটি টাকা ক্ষতি হওয়ার অভিযোগে চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের করেছেন এক ব্যবসায়ী। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ১০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জহিরুল কবির চৌধুরীর আদালতে মামলাটি দায়ের করেন মো. নুর মোহাম্মদ। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কাউন্টার টেররিজমের সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী।
মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাবেক গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশিদ, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ড. দিপু মনি, সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর জিয়াউল হক আহসান, বন্দরের সাবেক চেয়ারম্যান রিয়াল এডমিরাল মো. সোহায়েল।
আরো পড়ুন: শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে হামলায় মামলা, ১৮ আসামির মুক্তি
মামলার বাদী নুর মোহাম্মদ ‘দুরন্ত সাপ্লাইয়ার’ এবং ‘দুরন্ত বাজার’ নামে অনলাইন সফটওয়ার ভিত্তিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নওশেদ আলী বলেন, মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের ও জনগণের জনমালের ক্ষতিসাধন করার অভিযোগ আনা হয়। আদালত আমলে নিয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কাউন্টার টেররিজমের সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ‘দুরন্ত সাপ্লাইয়ার’ এবং ‘দুরন্ত বাজার’ নামের অনলাইন সফটওয়ার ভিত্তিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটিতে দৈনিক ব্যবসায়িক লেনদেন প্রায় ২০ লাখ টাকা। গত ১৮ জুলাই আসামিরা অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার উদ্দেশ্যে দেশে গণহত্যা পরিচলনা করার জন্য এবং ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর নির্মম নির্যাতনের উদ্দেশ্য পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সারাদেশের ইন্টানেট ও ব্রডব্যান্ড সেবা বন্ধ করে দেয়। ফলে বাদীর ব্যবসা সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ হয়ে যায়। এতে দেশের বাণিজ্যিক খাত প্রায় এক লাখ কোটি টাকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড বন্ধ থাকা অবস্থায় বাদীর ব্যবসা অনলাইন ও সফটওয়ার ভিত্তিক হওয়ায় কর্মচারীদের বেতন ভাতা, গাড়ি ভাড়া, শো-রুম ভাড়া, বাসা ভাড়াসহ অনলাইন ব্যবসায় পণ্য সরবরাহ এবং আর্থিক লেনদেন ব্যাহত হয়। যাতে বাদীর ১০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়।