খুলনা বটিয়াঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
ডা. মিজানের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ৩ সদস্যর কমিটি গঠন

বাবুল আকতার, খুলনা ব্যুরো
প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৫ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
খুলনা বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিপরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমানের দুর্নীতি তদন্তের জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক স্বাক্ষরীত এক দপ্তারাদেশে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে ডা. মিজানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ প্রচার হলে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, গণমাধ্যমকর্মী, রাজনৈতিনক নেতা, মুক্তিযোদ্ধাসহ উপজেলাবাসী বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিপরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করেন। এক পর্যায়ে বেসরকারি টেলিভিশন মাইটিভির ক্যামেরার সামনে কথা বলেন বটিয়াঘাটা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক এজাজুর রহমান শামীম, দৈনিক যুগান্তরের উপজেলা প্রতিনিধি শাওন হাওলাদার, দৈনিক কালের কন্ঠ ও দৈনিক পূর্বাঞ্চলের উপজেলা প্রতিনিধি প্রতাপ ঘোষ, মুক্তিযোদ্ধা মো. কামরুল ইসলামসহ কয়েকজন ভুক্তভোগী।
আরো পড়ুন: মাজারে হামলা: ডিসিদের ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ
এ বিষয়টি নিয়ে শনিবার দুপুর আড়াইটায় ও বিকেল ৫টায় মাইটিভিতে সংবাদ প্রচার হলে নড়েচড়ে বসেন খুলনার স্বাস্থ্য বিভাগ। ডা. মিজানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়ম তদন্ত করার জন্য খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মনজুরুল মুরশিদ ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেন।
এ তদন্ত কমিটিতে সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. মো. আ. সালামকে সভাপতি, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিপরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ফরহাদ জামিল ও সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. ইসমত জাহান সুমনাকে সদস্য করা হয়েছে। বিষয়টি সরেজমিনে তদন্তপূর্বক আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য দপ্তারাদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মনজুরুল মুরশিদ বলেন, বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিপরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির কথা মৌখিকভাবে অনেক শুনেছি। তবে আমার কাছে কেউ লিখিত কোনো অভিযোগ করেনি। টেলিভিশনে অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ আমি নিজেই টিভিতে দেখেছি। সেই সংবাদের কপিও আমার কাছে আছে। এই নিউজ দেখেই সেটা তদন্তের জন্য ৩ সদস্যের কমিটি করে দিয়েছি। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিপরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমানের দুর্নীতি সংবাদ টিভিতে প্রচার হওয়ার পর মাইটিভির খুলনা প্রতিনিধি শিশির রঞ্জন মল্লিককে হুমকি দিয়েছে এই কর্মকর্তা। মিজানের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরের হোয়াটসঅ্যাপ থেকে শিশিরের হোয়াটসঅ্যাপে শনিবার রাত ১০টা ২৪ মিনিটে এই হুমকি দেন তিনি। এ ঘটনায় শিশির রঞ্জন মল্লিক রবিবার খুলনা সদর থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছেন।