কেন আওয়ামী লীগের এমন দশা, জানালেন জামায়াতে আমির

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ১১:১৫ পিএম

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, জামায়াতকে মুছে ফেলতে গিয়ে আওয়ামী লীগ নিজেরা এমন পরিস্থিতিতে পড়েছে সেটার সাক্ষী এ দেশের ১৯ কোটি মানুষ। আমরা এজন্য কোনো গর্ব অহংকার করি না। আমরাও যদি এরকম করি তাহলে আমাদেরও এরকম হতে পারে।
জামায়াত আমির আরো বলেন, আল্লাহ সবার প্রতি সুবিচার করেন। যে মজলুম হবে সেই আল্লাহ পক্ষ থেকে সুবিচার পাবে। এটা আল্লাহ কোরআনে বারবার ঘোষণা দিয়েছেন। মজলুম যদি সবর করেন, আল্লাহ বলেছেন আমি তোমাদের সঙ্গী হব। আমরা মনে করি বিগত সরকারের আমলে জামায়াত ইসলামীই মজলুম ছিল না, পুরো জাতি মজলুম ছিল। মজলুক জাতিকে আল্লাহ তা’আলা একটা জুলুমের অবস্থা থেকে উদ্ধার করেছেন।
তিনি বলেন, আর আমরা সেই নির্যাতিত অবস্থা থেকে অতটা রিকভারি করেছি সেটা বড় কথা নয়। আমরা হাজারো দুখ, কষ্ট, বেদনা বুকে চেপে চেষ্টা করেছি জনগণের পাশে থাকার। আমাদের কাজগুলো যেভাবেই হোক চালিয়ে যাওয়ার। আল্লাহ তা’আলা যদি মেহেরবানী করেন, তাহলে আল্লার পক্ষে অনেক কিছুই এই জমিনের মানুষকে উপহার দেয়া সম্ভব। আমরা আল্লাহ তা’আলার সেই উপহারের আশায় আছি যেন সামাজিক সুবিচার পূর্ণ একটা সমাজ আমরা পাই।
আরো পড়ুন: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেই আ.লীগের বিচার চাইলেন জামায়াতের আমির
এক সাক্ষাৎকারে শফিকুর রহমান বলেন, আসলে কেউ কারো বিকল্প না। যেসব নেতাকে ঠান্ডামাথায় হত্যা করা হয়েছে; তারা হঠাৎ করে একদিনে গড়ে ওঠেনি। তারা এই দেশ এবং মাটির সন্তান। তারা এখানকার আলো বাতাসে বড় হয়েছেন। এখানকার মানুষকে নিয়ে তারা ভাবতেন এবং রাজনীতি করতেন। তাদের রাজনীতি ছিল ইসলামের আদর্শের রাজনীতি। তারা আজীবন চেষ্টা করেছেন কিছু ভালো মানুষ তৈরি করার। আমাদের একটাই দাবি ছিল- ‘আল্লাহর আইন চাই, সৎ লোকের শাসন চাই’। সমাজে সুবিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা আল্লাহর আইন চাই।
তিনি বলেন, যে সমাজে সুবিচার প্রতিষ্ঠা হয় সেই সমাজটা ভালো থাকে। ব্যক্তিগতভাবে সবাই ভালো থাকে, সমাজ ভালো থাকে। আর যেখানে সুবিচার থাকে না, অবিচার বিরাজ করে সেখানে কেউ ভালো থাকতে পারে না। এমনকি বিচারক নিজেও ভালো থাকতে পারেন না। আমরা সেই সুবিচার চেয়েছি।
ড. শফিকুর রহমান আরো বলেন, যাদের খুন করা হয়েছে তারা আর ফিরে আসবে না; কিন্তু তাদের স্মৃতিগুলো আমাদের অনুপ্রেরণা জোগায়। তাদের স্মৃতিগুলো আমাদের কাজ করতে শক্তি জোগায়। তারা আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন মানুষের প্রতি আমাদের দায় এবং দরদ দুটাই যেন থাকে। ভালোবাসাও থাকে শ্রদ্ধাবোধও থাকে। আমাদের নিজের জায়গা থেকে আমরা এটুকুই চেষ্টা করছি। তবে এটা ঠিক আমাদের নেতাদের হত্যা করার মাধ্যমে তারা চেয়েছিল বাংলার জমিন থেকে জামায়াতে ইসলামীকে মুছে ফেলতে, কিন্তু আল্লাহ সেটা চাননি।